নাটোরের হালতিবিলসহ নলডাঙ্গায় বছরে উৎপাদন হয় ২২৫ কোটি টাকার ৮৯৮৯ মেট্রিক টন মাছ

নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের হালতিবিলসহ নলডাঙ্গা উপজেলায় বছরে প্রায় ২২৫ কোটি টাকার ৮ হাজার ৯৮৯ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। এরমধ্যে হালতিবিলে প্রকৃতিগতভাবে দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদন ও আহরণ হয় ৪ হাজার ৫৬৪ মেট্রিক টন, যা প্রায় ১১৪ কোটি টাকা।
এছাড়া সকল পুকুরে ৩ হাজার ৯৮৩ মেট্রিক টন ও নদীতে ৪০০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সাংবাদিক, মৎস্যজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবিদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য দেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার হয়। ‘ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান আকরামুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাউছার রহমান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার, সাংবাদিক মামুনুর রশীদসহ মৎস্য চাষী ও বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিগণ।
আরও পড়ুননলডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি ও রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে ৫০ থেকে ৬০টি অভিযান ও ৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এতে প্রায় ১৩ লাখ টাকার ৪০০টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল, প্রায় ২ লাখ টাকার ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি বিল ও নদীতে পোনা মাছ অবমুক্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশীয় প্রজাতি মাছের প্রজনন সহায়তা, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মা মাছ রক্ষায় উপজেলার বারনই নদী, মরা আত্রাই নদীসহ হালতিবিল মিলে ১১টি মৎস্য অভয়াশ্রম এবং দুইটি বিল নার্সারী স্থাপন করা হয়েছে। যা উপজেলা মৎস্য বিভাগ থেকে নিয়মিতভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, হালতিবিলের মাছের প্রজাতি ও গুণগত মান অন্যান্য বিলের মাছের চেয়ে ভাল। তাই হালতিবিলের মাছের চাহিদা ও দাম বেশি।
মন্তব্য করুন