বগুড়ায় কোটা আন্দোলনকারীদের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা, পুলিশের ধাওয়া, আটক ৮

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় আজ সোমবার (২৯ জুলাই) কোটা আন্দোলনকারীরা ফের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। তবে আইন শৃংখলা বাহিনী তাদের সেই চেষ্টা ভন্ডুল করে দেয়। আইন শৃখলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে সড়কে দাঁড়তে পারেনি তারা। আজ সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে শহরের সেউজগাড়ীতে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে হটিয়ে দেয় পুলিশ। এ ছাড়া শহরের জলেশ্বরীতলাতেও বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়।
পুলিশের গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল যে, আজ সোমবার (২৯ জুলাই) শহরে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে ‘বিক্ষোভকারীরা’। সেই তথ্য পেয়ে আইন শৃংখলা বাহিনী নড়েচড়ে বসে। আজ সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকেই কঠোর অবস্থান নেয় আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় র্যাব, পুলিশ, আমর্ড পুলিশ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। সাঁজোয়া যান এপিসি নিয়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। টহল দেয় সেনাবাহিনীও।
শহরের মোড়ে মোড়ে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি করা হয় সন্দেহভাজনদের। সাতমাথায় আটক করা হয় ৩ জনকে। এ সময় একজনের কাছে ৪টি এন্টি কার্টার পাওয়া যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামও পাওয়া যায় আরও একজনের কাছে। অপরদিকে র্যাব সদস্যরাও বিভিন্ন স্থান থেকেও আটক করে আরও ৫ জনকে।
শুধু সাতমাথা নয়, চেকপোস্ট স্থাপন করা হয় সেউজগাড়ী, রেল স্টেশনের সামনে, আজিজুল হক কলেজ নতুন ভবনের সামনে ও জলেশ্বরীতলাসহ বিভিন্ন স্থানে। আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে আজ সোমবার (২৯ জুলাই) বগুড়ায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুনএর আগে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে শহরের সেউজগাড়ী কারমাইকেল সড়কে কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষে অবস্থান নেয় অর্ধ শতাধিক বিক্ষোভকারী। তবে তারা সড়কে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। খবর পেয়ে ৪ গাড়ি ভর্তি পুলিশ ও ডিবি পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া করে।
এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সড়ক ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। এ ছাড়া বিকেল পোনে ৫ টার দিকে শহরের জলেশ্বরীতলায় কালীবাড়ি মোড়ে কোটা অন্দোলনকারীরা সড়কে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়। এ ছাড়া বিকেলে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ নতুন ভবনের সামনে আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়। সেখান থেকেও পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
পুলিশ সূত্র বলছে, সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নিয়েছে। যে কারণে শিক্ষার্থীরা এখন আর আন্দোলনে নেই। তবে আন্দোলনের নামে অরাজকতা করছে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির। তারাই নাশকতা করছে। নাশকতা ঠেকাতে আইন শৃংখলা বাহিনী সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন