ভিডিও মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০২:২৪ রাত

শারীরিক মানসিক রোগ থেকে শেফার দোয়া

ছবি: সংগৃহীত, শারীরিক মানসিক রোগ থেকে শেফার দোয়া

বুক—পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ ও শান্তির জায়গা। আর সেই বুক যদি হয় মায়ের, বাবার বা আপনজনের, তাহলে তা হয়ে ওঠে আশ্রয়ের প্রতীক। বলা হয়, বাবা-মায়ের চেয়ে আপন কেউ নেই—এ কথাটি সত্য। তবে এর চেয়েও বড় সত্য হলো, আমাদের সবচেয়ে বড় আপন হলেন দয়াল নবী মুহাম্মদ (সা.)।

বাবা-মায়ের আদরেরও একটি সীমা আছে। কেয়ামতের দিন সেই সীমার কথাই কোরআনে বলা হয়েছে—যেদিন মানুষ নিজের মা-বাবা, ভাই, স্ত্রী ও সন্তান থেকেও দূরে সরে যাবে (সুরা আবাসা ৩৪–৩৭)। কিন্তু সেই ভয়াবহ দিনে গুনাহগার উম্মতের পাশে দাঁড়াবেন একমাত্র নবীজি (সা.)। তিনি শাফায়াত করে উম্মতকে জান্নাতের পথে নিয়ে যাবেন।

নবীজি (সা.)-এর বুকে উম্মতের জন্য যে মায়া ও রহমত জমা আছে, তা আর কারও নেই। তিনি রহমত হিসেবেই পাঠানো হয়েছেন। দুনিয়ার জীবনে যেমন তিনি উম্মতের পাশে ছিলেন, বরজখের জীবনেও তিনি উম্মতকে ভোলেননি। ইতিহাসে অসংখ্য ঘটনা আছে—বিপদে পড়ে উম্মত নবীজি (সা.)-কে স্মরণ করেছে, আর তিনি স্বপ্নে বা আল্লাহর ইচ্ছায় তাদের সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন। অসুস্থ ব্যক্তি তাঁর ছোঁয়ায় সুস্থ হয়েছেন—এমন ঘটনাও প্রসিদ্ধ।

সাহাবিরাও রোগে-শোকে নবীজি (সা.)-এর দরবারে যেতেন। কখনো তিনি দোয়া করতেন, কখনো বরকতি থুতু দিতেন, আবার কখনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিতেন। খায়বরের যুদ্ধে হজরত আলী (রা.)-এর চোখ ভালো হওয়া কিংবা হিজরতের সময় আবু বকর (রা.)-এর সাপে কাটা সেরে ওঠার ঘটনা তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

আরও পড়ুন

নবীজি (সা.) শুধু শেফা দেননি, বরং শেফা পাওয়ার দোয়াও শিখিয়েছেন। অসুস্থতার সময় পড়ার দোয়াগুলো আজও আমাদের জন্য রহমতের দরজা খুলে দেয়।

আজ আমরা যারা শারীরিক বা মানসিক কষ্টে আছি—চলুন নবীজি (সা.)-এর শেখানো পথে ফিরে যাই। দোয়ার হাত তুলি, তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করি। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহর রহমত আসবেই—শান্তি ও সুস্থতা মিলবেই।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শারীরিক মানসিক রোগ থেকে শেফার দোয়া

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ : ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৫৯১ জন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জরুরি সংবাদ সম্মেলন আজ

জকসু নির্বাচন আজ, ৩৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ

মনোনয়ন ফরম তুলেও জমা দেননি ৮২৫ জন প্রার্থী

দিল্লিতে রেড এলার্ট জারি