ভিডিও শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২

প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:০১ বিকাল

পাবনার বেড়ার শুঁটকি যাচ্ছে বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে শতাধিক নারীর

পাবনার বেড়ার শুঁটকি যাচ্ছে বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে শতাধিক নারীর

বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার বেড়া উপজেলায় বেড়ে চলেছে শুঁটকির উৎপাদন। উপজেলার ১৫টিরও বেশি শুঁটকি খোলায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে শতাধিক নারীর। এখানে উৎপাদিত শুঁটকি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মালয়েশিয়া, ভারতের আসাম, মেঘালয়সহ বিভিন্ন দেশেও রপ্তানি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, বেড়ায় সাতটি বিল রয়েছে। বিলগুলোতে অক্টোবরের শুরু থেকেই প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। এছাড়া নদী ও খালগুলো থেকেও ধরা পড়ে প্রচুর মাছ। এসব মাছের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি শুঁটকি খোলা। এসব শুঁটকি খোলা চালু থাকে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বেড়ায় প্রায় ৪০ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হয়ে থাকে। উৎপাদিত শুঁটকির মধ্যে রয়েছে শোল, বোয়াল, পুঁটি, খলসে, চেলা, ট্যাংরা, টাকি, চাপিলা, বাইমসহ নানা প্রজাতির দেশি মাছ। এসব শুঁটকির বড় অংশ সৈয়দপুরের ব্যবসায়ীরা নিয়ে যান। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরাও আসেন শুঁটকি নিতে। এখানকার শুঁটকি মানে ভালো হওয়ায় ভারতের আসাম, মেঘালয়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, দুবাইসহ কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে।

সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি শুঁটকি খোলায় গিয়ে দেখা যায়, কর্মরত শ্রমিকদের বেশিরভাগই নারী। শুঁটকি তৈরির মৌসুমে প্রায় চার মাস কাজ করেই সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন অনেকেই। উপজেলার ১৫টি শুঁটকি খোলায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে শতাধিক নারীর। জয়নগর গ্রামে শুঁটকি খোলায় কর্মরত শাহানা খাতুন ও রোয়া খাতুন জানান, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ করে প্রতিদিন ২শ’ টাকা করে পান তারা। এতে আগের তুলনায় সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরেছে।

আরও পড়ুন

শুঁটকি খোলার মালিক হযরত আলী বলেন, তার খোলায় ১৫ থেকে ১৬ জন কাজ করেন। তার মধ্যে নারী কর্মীর সংখ্যা ১০ থেকে ১২ জন। মৌসুমে টানা কাজ করেন তারা। খোলার মালিকেরা জানান, বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যে পুঁটি ও শোল মাছ সবচেয়ে বেশি শুঁটকি করা হয়। স্থানীয় জেলে অথবা মাছের আড়ৎ থেকে পুঁটি মাছ ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় এবং শোল মাছ ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায় কেনা হয়।

শুঁটকি করার পর পুঁটি আকারভেদে ২শ’ থেকে ৬শ’ এবং শোল এক থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। সৈয়দপুরের শুঁটকি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়ার শুঁটকির মান বেশ ভালো। এরমধ্যে ভারতে পুঁটি শুঁটকির ভালো চাহিদা। তাছাড়া মালয়েশিয়াতেও শুঁটকি পাঠান তারা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বাস ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত

পাবনার বেড়ার শুঁটকি যাচ্ছে বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে শতাধিক নারীর

জাকির পরিবারের খরচের দায়িত্ব নিল ঢাকা ক্যাপিটালস

খাঁটি ঘি চেনার সহজ উপায়

স্টেজ শো ও টিভি শো’তে মেতে উঠেছেন রাশেদ

জোভান-কেয়া পায়েলের ‘কোটিপতি’