তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন পরবর্তী পরিস্থিতি নজরে রাখছে ভারত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত। বিশেষ করে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফেরার পর সৃষ্ট নতুন রাজনৈতিক মেরূকরণ নয়াদিল্লির বিশেষ নজরে রয়েছে। শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান। সেখানে বাংলাদেশে দিপু চন্দ্র দাস ও অমৃত মণ্ডলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে পরিবর্তনগুলো ঘটছে, ভারত তা গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে এই প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার প্রত্যাবর্তনকে একটি বিশেষ ‘ডেভেলপমেন্ট’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারত মনে করে, সামগ্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশের ওপর এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে।
মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে। ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে বদ্ধপরিকর। আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। শুরু থেকেই আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছি।
আরও পড়ুনতারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ও নির্বাচনী আলোচনার সমান্তরালে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর চলমান হামলা ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারত। সমপ্রতি রাজবাড়ীতে অমৃত মণ্ডল এবং ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাস নামে দুই হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের ওপর ২৯০০-এর বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে হত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং জমি দখলের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। জয়সওয়াল বলেন, সংখ্যালঘুদের প্রতি এই ‘অবিরাম শত্রুতা’ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশা করছি।
মন্তব্য করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

_medium_1766734685.jpg)





