ভিডিও সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৯:১৮ রাত

রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রার্থীদের অস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা জারি

রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রার্থীদের অস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা জারি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ও সশস্ত্র রক্ষী (রিটেইনার) নিয়োগসংক্রান্ত একটি নতুন নীতিমালা জারি করেছে সরকার।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা- ২০২৫’ নামে এ নীতিমালা জারি করেন।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় নির্ধারিত শ্রেণির ব্যক্তি ও প্রার্থীরা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগের অনুমতি পাবেন।

নীতিমালা অনুযায়ী, ‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বলতে সরকার স্বীকৃত বর্তমান বা সাবেক উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বোঝানো হয়েছে। আর ‘পদপ্রার্থী’ বলতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ব্যক্তিকে নির্দেশ করা হয়েছে।

লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরকার স্বীকৃত রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে হবে বা সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাসহ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাইকৃত নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে হবে, শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম হতে হবে এবং অস্ত্র সংরক্ষণের নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান অন্যান্য নীতিমালা ও বিধান প্রযোজ্য থাকবে। তবে ব্যক্তিগত আয়কর প্রদানসংক্রান্ত শর্ত শিথিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

এই নীতিমালার আওতায় দেওয়া লাইসেন্স নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন থেকে পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। নির্ধারিত সময় শেষে লাইসেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ হলে এই সাময়িক লাইসেন্সকে সাধারণ লাইসেন্সে রূপান্তরের ক্ষমতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের থাকবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর লাইসেন্সধারী কেউ অস্ত্র নিজের কাছে রাখলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

রিটেইনার নিয়োগের ক্ষেত্রে নীতিমালায় বলা হয়েছে, কেবল প্রকৃত নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলেই সশস্ত্র রক্ষী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে। রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে রিটেইনার ব্যবহার করা যাবে না। কোনও প্রার্থী বা রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিজে অস্ত্র কিনতে অক্ষম বা অনিচ্ছুক হলে বৈধ লাইসেন্সধারী ও অস্ত্র পরিচালনায় দক্ষ ব্যক্তিকে রিটেইনার হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন, তবে সে নিয়োগ অবশ্যই লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে হতে হবে।

রিটেইনার হতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে এবং ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর হতে হবে।

একই সঙ্গে অপরাধমুক্ত, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সপ্রাপ্ত, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে প্রশিক্ষিত এবং সরকারি হাসপাতাল থেকে মেডিকেল ফিটনেস সনদপ্রাপ্ত হতে হবে। সশস্ত্র বাহিনী বা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন।

নীতিমালায় স্পষ্ট করা হয়েছে, একজন রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা পদপ্রার্থীর জন্য সর্বোচ্চ একজন রিটেইনার নিয়োগ করা যাবে এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে সেই নিয়োগও বাতিল হবে। রিটেইনারের নামে কোনো আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হবে না, অস্ত্রের সব দায়ভার থাকবে মূল লাইসেন্সধারীর ওপর।

এ ছাড়া আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, অস্ত্র বহনের সময় সবসময় লাইসেন্স ও অনুমোদন সঙ্গে রাখতে হবে। কাউকে ভয় দেখানো বা হয়রানির উদ্দেশ্যে অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না এবং নিরাপত্তা ছাড়া অন্য কোনও কাজে অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ। লাইসেন্স বা অস্ত্র হস্তান্তর করা যাবে না এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশ তাৎক্ষণিকভাবে মানা বাধ্যতামূলক হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রার্থীদের অস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা জারি

কিশোরগঞ্জে ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ নারী কারবারি আটক

আতিফ আসলামের কনসার্টের টিকিটের টাকা ফেরত না দেওয়ায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়ায় ফুলের মালা বানাতে ব্যস্ত ছিলেন কারিগররা

বিজয় দিবসের বিশেষ নাটকে মৌ-নাসিম

ঠাকুরগাঁওয়ে গাঁজাসহ মাদক বিক্রেতা গ্রেফতার