হামলাকারীরা যাতে কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে না পারে, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত’ উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ও হামলাকারীদের দেশত্যাগ রোধে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, পুলিশ–সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে তিনি দোষীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন এবং নির্বাচন ও গণভোট বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার অঙ্গীকার করেন। বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ প্রধান উপদেষ্টার তিন বিশেষ সহকারী উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান বৈঠকে জানান, গুরুতর ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’-তে হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন এবং পরিবারের অনুরোধে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজসহ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সম্ভাব্য আস্তানায় অভিযান জোরদার এবং দ্রুতই একটি বিশেষ হটলাইন চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ড. ইউনূস দেশবাসীর কাছে হাদির সুস্থতার জন্য দোয়া চান এবং সম্ভাব্য টার্গেটে থাকা ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেন।