রংপুরে তাবলিগ জামাতের বিভাগীয় ইজতেমা শুরু : দুই মুসল্লির মৃত্যু
রংপুর জেলা প্রতিনিধি: ব্যক্তিত্বের নৈতিক সংস্কার ও আত্মশুদ্ধির লক্ষে কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি নিয়ে তাবলিগ জামাতের এবারেই প্রথম শুরু হয়েছে রংপুর বিভাগীয় ইজতেমা। প্রায় ৮০ একর জমি নিয়ে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে বিভাগীয় ইজতেমায় তিল ধারণের জায়গা নেই। গত বুধবার রাতেই মুসুল্লী দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে ইজতেমার মাঠ। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে আম বয়ানের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় তাবলিগ জামাতের তিনদিনব্যাপী বিভাগীয় ইজতেমা। আম বয়ান করেন মাওলানা আব্দুল কাদের। আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজে ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী ছাড়াও অতিরিক্ত মুসুল্লী অংশ নিতে পারে বলে ধারণা করছে আয়োজকরা। আগামীকাল শনিবার তিনদিনব্যাপী বিভাগীয় ইজতেমা দুপুর ১২ টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
এদিকে, রংপুর বিভাগীয় ইজতেমার মাঠে বয়স ও ঠান্ডাজনিত সমস্যায় দুইজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইজতেমার মাঠের ৬নং হালকার জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন ও পশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম।
আয়োজক কমিটির তথ্য মতে, এবারের বিভাগীয় ইজতেমায় রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে তাবলিগের সাথীরা অংশ নিয়েছেন। সেই সাথে দেশের বিভিন্ন জেলার ৪০দিনের চিল্লায় অংশ নেওয়া সাথীরাও অংশ নিয়েছেন ইজতেমায়। এছাড়াও ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ নিয়েছেন প্রায় ২শ’ বিদেশি মেহমান।
আয়োজক কমিটির সদস্য খালেকুজ্জামান রাজা জানান, বিভাগীয় ইজতেমা মাঠকে আলোকিত রাখতে বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি শতাধিক জেনারেটর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মুসল্লিদের ওজু ও গোসলের জন্য পর্যাপ্ত পানি ও ট্যাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী বলেন, এবারেই প্রথম বিভাগীয় পর্যায়ে ইজতেমা শুরু হয়েছে। ইজতেমা উপলক্ষে আয়োজক কমিটি, জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক হয়েছে। নির্বিঘ্নে ইজতেমার কাজ সম্পন্ন ও ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালনায় আয়োজক কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করছেন। নগরীর ৪নং ওয়ার্ডের আমাশু কুকরুল এলাকায় ইজতেমার প্রথমদিনে দুইজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনমারা যাওয়া মুসল্লিরা হলেন, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার সাঈদুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলার তারা মিয়া। টাঙ্গাইল জেলার মুসল্লি তারা মিয়া ৪০ দিনের চিল্লায় রংপুর এসে ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন। ইজতেমার মাঠের ৬নং হালকার জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন বলেন, দুপুরে ইজতেমা ময়দানেই জানাজা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন, ইজতেমার মাঠে বয়স ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে দুইজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তাদের দু’জনের মৃত্যুই স্বাভাবিক।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক
_medium_1765459005.jpg)




_medium_1765431086.jpg)
_medium_1765459913.jpg)
