ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই ভরসা ঠাকুরগাঁওয়ের দশ গ্রামের মানুষের
হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: কুলিক নদের ওপর পুরনো ও নড়বড়ে ৬০ মিটারের বাঁশের সাঁকোটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিনিয়ত চলাচল করেন হরিপুর ও রানীশংকৈল উপজেলার ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো দিয়ে ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ সেতু পারাপার হতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন স্থানীয়রা।
জানা যায়, হরিপুর উপজেলার ৬নং ভাতুরিয়া ইউনিয়নের ভুতডাঙ্গী, তাজিগাঁও, গোবিন্দপুর, ঝাঁরবাড়ি ও রানীশংকৈল উপজেলার পার্তিপুর, দেহনাগর ও কোচল গ্রামের লোকজন প্রায় ২০ বছর ধরে ওই স্থানে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কাজে গ্রামগুলোর কয়েক হাজার মানুষ এ সাঁকো ব্যবহার করেন।
হরিপুর উপজেলার ভুতডাঙ্গী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজ না থাকায় প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সেতুর দুইপাশে বসবাসরত সাধারণ মানুষ। কৃষিপণ্য পরিবহন, রোগী আনা নেওয়া, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের যাওয়া আসায় ভোগান্তি চরমে। প্রতিবছর বর্ষায় ভেঙে যাওয়া এ সাঁকোর পরিবর্তে বারবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেয়া নতুন সেতুর আশ্বাসেও মেলেনি সুফল বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি পানির স্রোতে ভেঙে যায়। তখন মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। সাঁকো দিয়ে চলাচলে ভয় পায় শিক্ষার্থীরা। বর্ষায় অনেক পথ ঘুরে যেতে হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। কৃষক রমজান, মোকবুল, সোহেল ও আমিরুল বলেন, কুলিক নদের দু’পারে তাদের কৃষিজমি রয়েছে।
জমি চাষাবাদের জন্য খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করি। কিন্ত বর্ষায় পড়তে হয় মহাবিপাকে। এসময় সাঁকোর পরিবর্তে একটা ব্রিজের দাবি করেন তারা। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাজাহান সরকার বলেন, এই ঘাটে একটি ব্রিজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন

_medium_1764600765.jpg)





