আসামির বক্তব্য প্রচার হওয়ায় রাজশাহী পুলিশ কমিশনারকে আদালতে তলব
রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে (১৭) খুনের অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামি লিমন মিয়ার (৩৬) বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় আদালতে একটি বিবিধ মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বশরীরে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আগামী বুধবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (আরএমপি) মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে আদালতে তলব করা হয়েছে। এর আগেই পুলিশ কমিশনারকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজশাহীর রাজপাড়া থানার আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন। আদালতের পেশকার আমজাদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, মিডিয়ায় প্রচারিত বিভিন্ন সংবাদ হতে অত্র আদালতের গোচরীভূত হয়েছে যে, বিগত ১৩ নভেম্বর রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ভাড়া ফ্লাটে অভিযুক্ত লিমন মিয়া কৌশলে প্রবেশ করে তার নাবালক ছেলে তাওসিফ রহমানকে ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত ও শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং তার স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে দেখা যায়, অভিযুক্ত লিমন মিয়া পুলিশি হেফাজতে থাকাবস্থায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে বক্তব্য প্রদান করে, যা আয়েশা সিদ্দিকা মিল্লি বনাম রাষ্ট্র ৩৯ বিএলডি ৪৭০সহ বিভিন্ন মামলায় প্রদত্ত মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এর নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
আরও পড়ুনএ অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য প্রদান করার সুযোগ প্রদান করায় কেন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে স্বশরীরে এ আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে খুন হয় বিচারকের ছেলে তাওসিফ। হামলায় আহত হন বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিও। এছাড়া হামলাকারী নিজেও ধস্তাধস্তিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সেদিনই তার ভিডিও বক্তব্য ভাইরাল হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন






_medium_1763218794.jpg)

