নাটোরে শিক্ষার্থী ধর্ষণের দায়ে শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রাজশাহী প্রতিনিধি : নাটোরের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদকে এসএসসি পরীক্ষার্থী অপহরণ ও ধর্ষণের মামলার দুটি পৃথক ধারায় ১৪ বছর ও যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আদালতের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ধর্ষণের দায়ে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এ রায় দেন।
পুলিশের ভাষ্যমতে, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর এসএসসি’র ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে নাটোরের নজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক পরীক্ষার্থী। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেওয়ার কথা বলে তাকে নিয়ে রাজশাহীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সেখানে আটকে রেখে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। অপহরণের ঘটনা জানার পর নির্যাতিত শিক্ষার্থীর মা ঘটনার দিন রাতেই প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ ও তার দুই ভাইকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ ২ অক্টোবর নির্যাতিত ছাত্রীকে উদ্ধার করলেও পালিয়ে যায় প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ। ১১ অক্টোবর রাত সোয়া ১২টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তকীতলার এলাকার একটি হোটেল থেকে ফিরোজ আহমেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুন্সী আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করে। চার্জ গঠনের সময় বিচারক দুজনকে অব্যাহতি দিয়ে একমাত্র আসামি হিসেবে ফিরোজের বিচার কাজ শুরু করেন। পরে পরে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ, সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তি তর্ক উপস্থাপন শেষে আজ মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে কারাগারে নেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাদীপক্ষ সন্তুষ্টি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
মন্তব্য করুন










