ময়মনসিংহে সংগ্রামী ও মানবিক কাজের সম্মাননা পেলেন ১২ নারী
ময়মনসিংহে সংগ্রামী, উদ্যোক্তা ও মানবিক কাজের জন্য ১২ জন নারীকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে জেলা রোভার ভবন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
গ্রামীণ নারীর উদ্যোগে টেকসই উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংগঠন ‘নিষ্ঠা উন্নয়ন সংঘ’র বাস্তবায়নে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) এই সম্মাননা প্রদান করেছে।
সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার চর সিরতা ইউনিয়নের উমা রানী চৌধুরী (সমাজসেবা), শিউলী আক্তার (জীবন সংগ্রামী), চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের হালিমা খাতুন (প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা), আনোয়ারা খাতুন (সমাজকর্ম), চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের হোসনা আক্তার (নারী উদ্যোক্তা ও জীবন সংগ্রামী), আমিনা খাতুন (জীবন সংগ্রামী), ভাবখালী ইউনিয়নের ফরিদা ইয়াসমিন (সমাজসেবা), রিনা আক্তার (জীবন সংগ্রামী), খাগডহর ইউনিয়নের রীতা রানী বর্মন (জীবন সংগ্রামী), তাহসিনা আক্তার রূপসী (উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী), দাপুনিয়া ইউনিয়নের জমিলা খাতুন (প্রসবকালীন সেবা) ও রাজিয়া খাতুন (উদ্যোক্তা)।
দিবস উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লীলা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন বিএনএনআরসি’র ময়মনসিংহের ফোকাল পার্সন স্বাধীন চৌধুরী। তিনি বলেন, গ্রামীণ নারীরা কেবল সমাজের অবহেলিত অংশ নয়, তারা উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মূল অংশীদার। আমরা চাই তাদের প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বের স্বীকৃতি জাতীয় পর্যায়ে আরও জোরালোভাবে প্রতিফলিত হোক।
এসময় অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ, ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোপাল চন্দ্র সর্দার ও অধ্যক্ষ কাব্য সুমী সরকার।
আরও পড়ুনবক্তারা বলেন, কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে আমাদের গ্রামীণ জীবনের মূল্যবোধের ভিতটি ধরে রাখার ক্ষেত্রে একজন নারীর ভূমিকা অপরিসীম। সমাজ-সংসারে তাদের মজুরিবিহীন শ্রম, নিষ্ঠা ও মানবিক মমত্ববোধের প্রতি আমাদের সশ্রদ্ধ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। অগ্রগতির সকল কর্মে পাশে থাকতে হবে সম্মান ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে। স্বীকৃতি দিতে হবে ঘর ও বাইরের অর্জিত সাফল্যকে।
তারা বলেন, বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীরা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রযাত্রার অন্যতম চালিকা শক্তি। কৃষি, ক্ষুদ্র উদ্যোগ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং সামাজিক নেতৃত্বে তাদের অবদান অনন্য।
অনুষ্ঠানে নারীর অধিকার, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, প্রযুক্তি ও বাজার সংযোগে সুযোগ সৃষ্টির ওপর জোর দেওয়া হয়। পরে সম্মাননা প্রাপ্ত নারীরা তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও সংগ্রামের গল্প শেয়ার করেন।
এসময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, উন্নয়নকর্মী এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক






_medium_1762437309.jpg)
