ঢাবিতে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে বিতর্ক, তবে শিক্ষার্থীদের প্রশংসায় ভাসছে সর্বমিত্র চাকমা
ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত কার্যকরী সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ক্যাম্পাসে ভবঘুরে উচ্ছেদ অভিযানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তা নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়— বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সাথে যুক্ত হয়ে হাতে লাঠি নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে ভবঘুরে উচ্ছেদ করছেন সর্বমিত্র।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন মহল, বিশেষ করে ছাত্রদল ও বামপন্থী সংগঠনগুলো এর সমালোচনা করে। তাদের দাবি— ভবঘুরে বা মাদকসেবী যেই হোক, কাউকে লাঠি দেখিয়ে তাড়ানো ডাকসুর কাজ নয়। কেউ অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় দিতে হবে; শাস্তি দেওয়ার অধিকার ডাকসুর নেই।
সূর্যসেন হলে ছাত্রদলের সদস্য সচিব তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে লিখেছেন— বিগত বছরগুলোতে এই ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ-শিবিরের সহিংসতায় এমনই হিংস্র পরিবেশ তৈরি হয়েছিল যে তোফাজ্জল নামের এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে! যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নৃশংসতা হয়েছে, সেখানে কোনো কিছুই এখন স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে ধরা চলে না।
তবে বিতর্কের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বড় অংশে দেখা গেছে বিপরীত সুর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদে একটি অনলাইন পোল অনুযায়ী— সর্বমিত্রের কাজের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের বড় অংশ তাকে সমর্থন করছেন। তাদের মতে, “ক্যাম্পাসে মাদকসেবীদের সুযোগ করে দিয়েছে কিছু রাজনৈতিক নেতারা। প্রতিদিন হয়রানির শিকার হতে হয়। সর্বমিত্র অন্তত সমস্যাটা চোখের সামনে আক্রমণ করেছে— এতে আমাদের নিরাপত্তা বেড়েছে।”
আরও পড়ুনসমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজা মিম ফেসবুকে লিখেছেন ক্যাম্পাসে মাদকসেবন কারী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি টান নাকি ডাকসুর সদস্য কাজ করতেছে দেখে জ্বালা ধরছে? আপনাদের কি লজ্জা লাগে না একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এহেন পরিবেশ দেখে? সুফিয়া কামালের আপুদের অসহ্য হ্যারাসমেন্ট দেখে? মৈত্রী-বঙ্গমাতার আপুদের যাতায়াতের ভীতি দেখে? রোকেয়া হলে সামনের রাস্তা ও শামসুন্নাহার হলের দিকে যাওয়ার দিকে হেটে যেতে নাকে হাত আর বুকে কম্পন দেখেও আপনাদের কি মনে হয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত এনে বিড়ি আর গাজা টানি? আচ্ছা আপনি না টাটেন,কিন্তু তাদের কেন টানতে দেবো? অন্যদের কেন কিনতে দেবো?ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আপনার আবাসনই দিতে পারে না,তাদের কেন দিতে যাবে? বহিরাগত গরীব-অসহায়-ভবঘুরে কারোর কর্মসংস্থান করার দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাহ।
আপনারা যেভাবে গুজব ছড়ান তাতে একদিন গজব পড়বে।নিজের মন না চাইলে বাইরে গিয়ে মানবতা দেখান।এখানে পড়তে আসছি।রাজনীতি ৬০০ একরের বাইরে করেন। শিক্ষার্থী সংসদে এমন মন্তব্যও এসেছে যে— “ছাত্রদল ও বাম রাজনীতির যাদের মাদকের ভাগে হাত আছে, তারাই বেশি চিৎকার করছে।”
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের বলেছেন— “ঢাবিতে মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। যারা এতদিন মাদকের কারবার করেছে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে— তারা সাবধান হয়ে যান। নো মার্সি।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক









