বগুড়া সারিয়াকান্দির সাড়ে ৩শ’ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা
সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে সারিয়াকান্দিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল পানিতে নষ্ট হয়েছে এবং কিছু ফসল মাটিতে নুয়ে পড়েছে। দ্রুত আবহাওয়া অনুকূলে না এলে ফসলহানির আশঙ্কা করছেন কৃষক। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমন ধান এবং মরিচ গাছের। ধান ও মরিচসহ উপজেলার ৩৬৮ হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, মসুর, খেসারি এবং চিনাবাদাম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই সারিয়াকান্দিতে কখনো মুষলধারে তো কখনো টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ায় উপজেলার কৃষকদের আমন ধানের গাছগুলো মাটিতে নুয়ে পড়েছে। সদ্য ফুল আসা ধানগাছ এবং কোথাও আধাপাকা আমন ধান জমিতেই নুয়ে পড়েছে। এদিকে অতিবৃষ্টির কারণে উপজেলার চরাঞ্চলের সদ্য বেড়ে ওঠা বা কোথাও হারভেস্টিং শুরু হওয়া মরিচ গাছের ক্ষেতেও পানি জমেছে।
কোথাও মরিচগাছ হেলে পড়েছে। কোথাও বাতাসে মরিচগাছের ডাল ভেঙে পড়েছে, কোথাও আবার পচারি ধরেছে। তবে আগামভাবে যেসব জমিতে কৃষকরা সরিষার আবাদ করেছিলেন সেইসব জমির সদ্য বেড়ে ওঠা সরিষার গাছ বৃষ্টিতে মাটির সাথে নেতিয়ে পড়েছে এবং এসব সরিষা গাছ নষ্টের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুনসারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে উপজেলার ১৩ হাজার হেক্টর আমন ধানের মধ্যে ২৬০ হেক্টর আমন ধান, দুই হাাজর ৫৯০ হেক্টর মরিচের মধ্যে ৪০ হেক্টর মরিচ, ৩০ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ১০ হেক্টর ভুট্টা, এক হেক্টর পেঁয়াজ, ১৫ হেক্টর সরিষা, পাঁচ হেক্টর মসুর, পাঁচ হেক্টর খেসারি এবং দুই হেক্টর জমির চিনাবাদাম অতিবৃষ্টির কারণে পানিতে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে কৃষি কর্মকতারা মাঠে রয়েছেন। তারা পড়ে যাওয়া ধানগাছ মুষ্টিবদ্ধ করে বেঁধে দেয়ার এবং জমি থেকে দ্রুত পানি বের করে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন










