বগুড়ার সোনাতলায় সুজাইতপুর-বালুয়াহাট সড়কে ব্রিজের এপ্রোচে মাটি না থাকায় যান চলাচল ব্যাহত
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : সোনাতলায় সুজাইতপুর-বালুয়াহাট সড়কে একটি ব্রিজের এপ্রোচে মাটি না থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি রাতের অন্ধকারে মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়াও যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সোনাতলা সদর ইউনিয়নের সুজাইতপুর-বালুয়াহাট সড়ক।
সড়কটি এলজিইডি’র। সড়কটির দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার। ওই ২ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে ৩টি ব্রিজ। ওই ৩টি ব্রিজের মধ্যে ১টি ব্রিজের এপ্রোচের মাটি বন্যা ও বৃষ্টির পানির তোড়ে ধ্বসে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিনেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
স্থানীয়রা জানান, ওই সড়ক দিয়ে সোনাতলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী গাবতলী, শিবগঞ্জ, সাঘাটা ও সারিয়াকান্দি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। এছাড়াও ওই এলাকাগুলোর প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত। কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য ওই সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় ৩/৪ বছর আগে বন্যা ও বৃষ্টির পানির স্রোতের তোড়ে ওই ব্রিজের পূর্ব পাশের এপ্রোচের মাটি ধ্বসে গেলেও এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি স্থানীয়রা লিখিত ও মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেও কোন ফল হয়নি। নীরব দর্শকের ভূমিকায় এলজিইডি থাকায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে সুজাইতপুর গ্রামের তাইবুর রহমান, মামুনুর রশিদ, জুয়েল রানা, আলতাফ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, মাহবুর রহমান, নাজমিন আক্তার, স্বপ্না বেগম বলেন, ওই সড়কের দুই পাশে রয়েছে একরের পর একর ফসলি জমির মাঠ। কৃষক জমি থেকে তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য যেমন ঘরে তুলতে পারে না, ঠিক তেমনি ওই ব্রীজের এপ্রোচের মাটি না থাকার কারণে পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করতে পারে না। এছাড়াও পথচারীদের ৫/৬ কিলোমিটার ঘুরে ঘুরে যাত্রীবাহী পরিবহনে যেতে হচ্ছে। এতে করে পথচারীদের সময় ও অর্থ দ্বিগুণ গুণতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সোনাতলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বেলাল বলেন, এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার পথচারী, চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। পথচারীদের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই ব্রিজের এপ্রোচের মাটি ভরাট করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে অবস্থিত ব্রিজটির এপ্রোচে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হবে।
মন্তব্য করুন








_medium_1759923065.jpg)

