ইরানের পরমাণু ইস্যুতে খামেনি বক্তব্যের কঠোর প্রতিক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরমাণু ইস্যুতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র থেকে বঞ্চিত রাখতে কূটনীতিকে প্রাধান্য দেবে ওয়াশিংটন।
১২ দিনের যুদ্ধের পর পরমাণু ইস্যুতে নতুন করে আলোচনা শুরুর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ট্রাম্প পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের যে দাবি করে আসছেন, তাও অস্বীকার করেছেন তিনি।
গত সোমবার (২০ অক্টোবর) এক ভাষণে খামেনি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে থাকেন যে তিনি একজন সফল চুক্তিপ্রণেতা। কিন্তু যদি কোনো চুক্তির সাথে জবরদস্তি থাকে এবং এর ফলাফল পূর্বনির্ধারিত থাকে, তাহলে সেটা কোনো চুক্তি নয় বরং জোরজবরদস্তি ও হুমকি।’ খামেনি আরও বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট গর্বের সাথে বলছেন যে, তারা ইরানের পারমাণবিক শিল্পে বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন। খুব ভালো কথা, আপনারা এমন স্বপ্ন দেখতে থাকুন! ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা আছে কি নেই তার সাথে আমেরিকার কী সম্পর্ক? এই হস্তক্ষেপগুলো অনুচিৎ, ভুল ও জবরদস্তিমূলক।’
একদিন পর খামেনির এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। ইসরাইল সফরে গিয়ে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) জেরুজালেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চান, তবে পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হতে দেয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘ইরান যেন কখনও পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে এটাই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য অর্জনে সব ধরনের কূটনৈতিক পথ ব্যবহার করা হবে।’ এছাড়া হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় লন্ডনভিত্তিক ইরান ইন্টারন্যাশনালকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখনও ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র তুলে দেবেন না।একই সঙ্গে ট্রাম্পের উদ্ধৃতি দিয়ে এই কর্মকর্তা যোগ করেন, ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রাখবে, যদি দেশটির শীর্ষ নেতারা সন্ত্রাস ত্যাগ করে এবং ইসরাইলের অস্তিত্বকে স্বীকার করে নেয়।
আরও পড়ুনএর মধ্যেই ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি স্যাটেলাইট চিত্রে ইরানের পারচিন সামরিক ঘাঁটির ভেতর নতুন ভবন নির্মাণের প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি করেছে। গত বছর ইসরাইলি হামলায় ধ্বংস হওয়া সেই স্থাপনাটিই একসময় পরমাণু অস্ত্র উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
মন্তব্য করুন