দীপাবলি উপলক্ষে মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে বেনাপোল

সনাতন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি (কালীপূজা) উপলক্ষে ভারতে ছুটির কারণে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ ও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। সেই সাথে দুদেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী পারাপারও চলবে।
আগামী বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে এ বন্দরে। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজেদুর রহমান জানান, দীপাবলি উপলক্ষে ভারতের পেট্রাপোল ব্যবসায়ীরা সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন। মূলত সোমবার বিকাল থেকেই ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। এ বিষয়ে তারা আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। তবে ওই দিন যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসে কাজ চলবে। বুধবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক তাজুল ইসলাম বলেন, ভারতে কালীপূজার ছুটির কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলেও ভারতের সাথে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ভারত থেকে আগত বা বাংলাদেশ থেকে ভারতগামী পাসপোর্টযাত্রীগন স্বাভাবিক নিয়মে যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুনবেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, ভারতে দীপাবলি উপলক্ষে মঙ্গলবার কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। তবে বন্দর ও কাস্টমসের সকল কার্যক্রম চালু থাকবে। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা খালি ট্রাক ফেরত যাওয়ার জন্য চেকপোস্ট কার্গো শাখা খোলা থাকবে। সেই সাথে দু‘দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
উল্লেখ্য, দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। মাত্র সাত দিনের এলসিতে পণ্য আনা যায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮১ কিলোমিটার। আড়াই ঘণ্টায় চলে আসা যায় চেকপোস্টে। সে কারণে আমদানিকারকরা পণ্য আমদানির জন্য বেনাপোল বন্দর ব্যবহার থাকেন। প্রায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়ে বাজারসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দুদেশের বন্দরে প্রায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে থাকে। এসব পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, গার্মেন্ট সামগ্রী ও পঁচনশীল পণ্য থাকে। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট ও পাটজাত পণ্য এবং মাছ।
এর আগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা পাঁচদিন বন্ধ ছিল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
মন্তব্য করুন