ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে টমাহক দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর কথা বিবেচনা করছেন। বলেছেন, এটি রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে ‘আগ্রাসনের একটি নতুন পদক্ষেপ’ হিসেবে কাজ করবে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিবিসি প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে যখন সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞাসা করে, তিনি ইউক্রেনে টমাহক পাঠাবেন কিনা, তখন ট্রাম্প উত্তর দিয়েছিলেন ‘দেখা যাক... পাঠাতে পারি।’ চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে দ্বিতীয়বার ফোনালাপের পরে, এই পদক্ষেপের কথা জানালেন ট্রাম্প। জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করার জন্য আরও শক্তিশালী সামরিক সক্ষমতার ওপর জোর দিয়েছিলেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২,৫০০ কিলোমিটার (১,৫০০ মাইল) পর্যন্ত হতে পারে, যা মস্কোকে ইউক্রেনের নাগালের মধ্যে রাখবে। এদিকে, ইসরাইলে যাওয়ার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি জানান, ইউক্রেনের অনুরোধ করা টমাহক পাঠাবেন কিনা তা নিয়ে রাশিয়ার সাথে কথা বলবেন। ট্রাম্প বলেন, আমি তাদের (রাশিয়া) এটা বলতে পারি যে, যদি যুদ্ধের মীমাংসা না হয়, তাহলে আমরা হয়তো টমাহক পাঠাতে পারি। তবে রাশিয়া সম্ভবত চাইবে না যে, টমাহক তাদের দিকে এগিয়ে যাক। বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
অনেক দিন থেকেই কিয়েভ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। কারণ এটি যুদ্ধের প্রথম সারির থেকে অনেক দূরে রাশিয়ান শহরগুলোতে আঘাত করতে সক্ষম। এদিকে, কিয়েভসহ ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে বারবার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। বিশেষ করে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যার ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
গত মাসে, ইউক্রেনে ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কেলগ জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে হামলার অনুমোদন দিয়েছেন। তবে রাশিয়া, যারা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করেছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রের টমাহক পাঠানোর সিদ্ধান্তকে খুব একটা পাত্তা দেয়নি। রাশিয়া বলেছে, টমাহক হোক বা অন্য কিছু তা তাদের সিদ্ধান্তে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।
মন্তব্য করুন