ভাঙ্গুড়ায় নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ট্রেনের যাত্রা আরম্ভ করায় যাত্রী নামতে গিয়ে হাত কেটে বিচ্ছিন্ন হলো

ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ বড়াল ব্রীজস্টেশনে যাত্রাবিরতি শেষে ট্রেন থেকে যাত্রীদের ওঠানামা শেষ হয়নি।নির্ধারিত যাত্রাবিরতির পূর্বেই ট্রেনপরিচালকের পতাকার সংকেতে ট্রেনটি তার গন্তব্যের অভিমুখে যাত্রা আরম্ভ করে।এ সময় ট্রেনথেকে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে সুফিয়া বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ ট্রেনের নিচে পড়ে গিয়ে হাত কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ঘটনার বিলম্বে সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার(৩অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথে পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসদরে অবস্থিত বড়াল ব্রীজ রেল স্টেশনে আন্তঃনগর ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটি ঘটেছে।এই ঘটনায় যাত্রী সাধারণ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া ট্রেনযাত্রী সুফিয়া বেগম পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার বেরহলিয়া গ্রামের সেনা সদস্য মাসুদ রানার স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ট্রেনযাত্রীদের অভিযোগ,প্রায় ৪০ মিনিট বিলম্বে ঢাকা-রাজশাহীগামী ৭৬৯নং আপ আন্তঃনগর ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন বড়াল ব্রিজ স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়।ট্রেনটি স্টেশনে ৩-৪ মিনিট যাত্রাবিরতি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘটনার দিন ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যাত্রাবিরতি না দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা আরম্ভ করেছিল।
আরও পড়ুনএ কারণে ট্রেন থেকে যাত্রীরা তাড়াহুড়া করে নামতে চেষ্টা করে।এ সময় চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে সুফিয়া বেগম ট্রেনের নীচে পড়ে যায়। তবে সৌভাগ্যক্রমে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও তার হাত কাটা পড়ে ট্রেনের চাকায়।ঘটনার পর পরই স্টেশনের যাত্রীসাধারণ দ্রুত ওই নারীকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা তাকে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন।
এ বিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার আল মামুনকে ভোক্তভোগিরা অভিযোগ করলে তিনি ঊর্ধ্বতন দপ্তরে বিষয়টি অবহিত করেন। ট্রেনটি নির্ধারিত যাত্রাবিরতির পূর্বেই গন্তব্যের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে স্টেশন মাস্টার আল মামুন বলেন, বড়ালব্রীজ স্টেশনে সিগন্যাল নেই। এখানে ট্রেন পরিচালক ও ট্টেনচালক নিজ দায়িত্বে যাত্রা বিরতির পর গন্তব্যের দিগে যাত্রা করে থাকে।ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার পরে নামতে গিয়ে ওই যাত্রীর হাত কাটা পরেছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
মন্তব্য করুন