সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ-ভাঙচুর, ডিসির কার্যালয় ঘেরাও
_original_1758814273.jpg)
সিলেট মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশার অনুমোদন দাবিতে চালক ও মালিক-শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এর আগে সকাল থেকে নগরের চৌহাট্টা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হয়ে মিছিলসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দিকে রওনা হন। পথে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে সিটি করপোরেশনের গাড়িসহ দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং নগরভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলেন।
‘পারমিট চাই’, ‘রিকশা চালাতে দাও’, ‘গরিবের পেটে লাথি মারো না’—এমন নানা স্লোগানে রাজপথ উত্তাল করে তোলেন চালকরা।
জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে অটোরিকশা চালানোর অনুমতি চান তারা। প্রশাসনের আশ্বাসের পর বিক্ষোভকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
এদিকে সিলেট মহানগর পুলিশের অভিযানে প্রতিদিনই অবৈধ যানবাহন আটক ও মামলা প্রদান করা হচ্ছে। গত তিনদিনে শতাধিক যানবাহন আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যাই বেশি।
আরও পড়ুন
বুধবার তৃতীয় দিনে ৬৯টি যানবাহন আটক করা হয়, যার মধ্যে ৪৪টি ব্যাটারিচালিত রিকশা। এছাড়া ৩১টি যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযানের অংশ হিসেবে শামীমাবাদ এলাকায় পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ১১টি গ্যারেজের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ১৪৫ ফুট তার, ১৮০টি চার্জিং পয়েন্ট ও ১০টি অবৈধ মিটার জব্দ করে পুলিশ।
নগরের সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সিলেট মহানগর পুলিশ গত শনিবার আট দফা নির্দেশনা জারি করে। এতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনবিহীন বা ভুয়া নম্বর প্লেটযুক্ত কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না। অনুমোদনবিহীন পার্কিং করা যাবে না। মোটরসাইকেল আরোহী ও চালককে হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক। সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নগরীতে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি প্রবেশ করতে পারবে না। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। হেডলাইট, ব্রেক লাইট ও সিগন্যাল লাইট সচল না থাকলে গাড়ি নামানো যাবে না। গাড়ির কাগজপত্র ও লাইসেন্স ছাড়া কোনো যানবাহন চলতে পারবে না। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করানো যাবে না। এসব নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় এসএমপি।
রিকশাচালকদের অভিযোগ, পারমিট না দিয়ে রিকশা আটক ও মামলা দিয়ে তাদের পথে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁচার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে অনুমোদন দাবি জানাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন