তামিমের অভিযোগের অস্বীকার করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। এরই মাঝে নির্বাচন ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক ও উত্তেজনা। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ ও বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ক্ষমতার অপব্যবহার করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে তামিম বলেন, ‘আমি নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বর্তমান সভাপতি এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে কাউন্সিলর মনোনয়নের ক্ষেত্রে সরাসরি চিঠি পাঠিয়ে প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে। এটা কোনো নির্বাচন নয়, বরং এক ধরনের 'সিলেকশন' চলছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তামিম কারো নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি, তবে তার ইঙ্গিত ছিল সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার দিকে। তবে তামিমের অভিযোগ পুরোই অস্বীকার করেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
দেশের একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। আমরা কেবল আমাদের রুটিন কাজ করছি। আমাদের অধীনস্ত যে কারো সঙ্গে আমি কথা বলতেই পারি, আমার সচিব কথা বলতেই পারে। এটা সরকারের রুটিন কার্যক্রম। এটাকে হস্তক্ষেপ বলার সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুনতিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ মনে করে সরকারের এখতিয়ার ছাড়িয়ে কিছু হয়েছে, তাহলে তারা আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে, এমনকি আইসিসিকেও জানাতে পারে।’
তবে নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, সে লক্ষ্যেই ক্রীড়া সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের কাউন্সিলর হিসেবে রাখার কথাও বলেন উপদেষ্টা, ‘ক্রীড়া সংস্থার বাইরের কাউকে কাউন্সিলর করা হলে হাইকোর্টে রিট হতে পারে। তাই আমরা চাচ্ছি যেন নির্বাচন যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘তামিম ভাইয়ের পক্ষে অপহারণ করা, বুলবুল ভাইকে প্রেসিডেন্ট না হতে ফোন করার ব্যাপার দৃষ্টিকটু। আমি তামিম ভাইয়ের ফ্যান। কিন্তু তামিম ভাইকে সামনে রেখে একটা দল এসব করছে। তামিম ভাই যদি পাবলিকের হয়ে বিসিবিতে প্রতিনিধিত্ব করতেন সেটা বেটার হতো।’
মন্তব্য করুন