দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠেছেন সাহেলা আক্তার

অভি মঈনুদ্দীন : এই সময়ের নাটকগুলোর মধ্যে প্রায় নাটকেই সাহেলা আক্তারের উপস্থিতি থাকে। হোক তা খণ্ড নাটক কিংবা ধারাবাহিক নাটক। নাটকে মা কিংবা ভাবী কিংবা বোনের চরিত্রে সাহেলা আক্তার নিজেকে একটু একটু করে একজন পরিপূর্ণ অভিনেত্রী হিসেবেই গড়ে তুলছেন। যদিও পেশাগত জীবন তার শুরু হয়েছিলো শিক্ষকতা দিয়ে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই সাহেলার প্রবল আগ্রহ ছিলো বড় হয়ে অভিনয় শিল্পী হবার।
নরসিংদীর মনোহরদী থানার সল্লাবাঈদ গ্রামের এক রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে তিনি। ঘটনাক্রমে এক সময় তিনি পরিচালক মনির হোসেন জীবনের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করেন। তারই নির্দেশিত ‘ভবের হাট’ নাটকে প্রথম অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে পড়াশুনা শেষ করে রাজধানীর হলিচাইল্ড পাবলিক স্কুল অ্যাণ্ড কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন (বিষয় গণিত)। মনির হোসেন জীবনেরই আরেকটি নাটক ‘গুনীন’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের কারণে টানা ১৪ দিন শুটিং করতে হয়েছিলো। যে কারণে তার চাকুরী চলে যায়। পরবর্তীতে অভিনয়েই তিনি মনোযোগী হয়ে উঠেন। দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি নাটকে অভিনয় করছেন। এক হাজারেরও বেশি নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন। বর্তমান সময়ের দর্শকপ্রিয় নাটক তাইফুর জাহান আশিকের ‘চোরের বউ চুন্নি’তে অভিনয় করেছেন তিনি। এটি একটি খণ্ড নাটক। এতে আরো অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি। একই পরিচালকের নির্দেশনায় সাহেলা আক্তার বাংলাভিশনে প্রচার চলতি ধারাবাহিক নাটক ‘জামাই শ্বশুড় ডাকাত’ নাটকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন। তন্ময় ও সামিহা আক্তারের সঙ্গে ‘অসহায় পুরুষের অবুঝ পরিবার’ নাটকে অভিনয় করেছেন সাহেলা। নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশিত আছে। এরইমধ্যে সাহেলা শেষ করেছেন নাজনীন হাসান খানের ‘ফুলের বিয়ে’ নাটকের কাজ। তার অভিনীত প্রিয় নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘এই শহরটা আমার জন্য না’,‘ চন্দ্রাবতী’,‘ কারাতে বউ’, ধারাবাহিক ‘বউ শ্বাশুড়ি’,‘রঙের ভালোবাসা’, সাত পর্বের ধারাবাহিক ‘প্রতিবেশীর ভালোবাসা’ ইত্যাদি। সাহেলা ১৫টিরও বেশি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন।
আরও পড়ুনযারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘হৃদয়ে ৭১’,‘ ছায়াবৃক্ষ’,‘ কমিশনার’,‘ভাঙ্গা মন’,‘ সীমানা’,‘ কথা দিলাম’,‘ বিয়ে আমি করবোনা’ ইত্যাদি। সাহেলার বাবা ফকির মাজহারুল ইসলাম ও মা রাবেয়া ইসলাম। পাঁচ ভাইয়ের একমাত্র বোন তিনি। সাহেলা বলেন,‘ আমার অভিনয় জীবন নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে এটা সত্য আমার আজকের যে অবস্থান তার নেপথ্যে মনির হোসেন জীবন ভাইয়ের অবদানই বড়। তার প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। কারণ তিনি সুযোগ না দিলে আমার স্বপ্ন পূরণ হতোনা। আরো ধন্যবাদ আমাকে নিয়ে যারা নিয়মিত নাটক নির্মাণ করেন। দর্শকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, তারা আমার অভিনীত নাটক দেখে আমাকে অনুপ্রাণিত করেন। সবার কাছে দোয়া চাই যেন আরো ভালো ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করতে পারি।’ ১২ নভেম্বর জন্ম নেয়া সাহেলার ছেলে গালিব তার মায়ের অভিনয়কে ভীষণ অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন।
মন্তব্য করুন