ভিডিও রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রুশ-ইউক্রেন বাফার জোনে বাংলাদেশ-সৌদি সেনাদের নেয়ার পরিকল্পনা

রুশ-ইউক্রেন বাফার জোনে বাংলাদেশ-সৌদি সেনাদের নেয়ার পরিকল্পনা, ছবি: সংগৃহীত।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তিচুক্তি হলে দেশ দু’টির ভেতর তৈরি হতে পারে একটি বড় বাফার জোন বা নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল, যেটির নজরদারির নেতৃত্ব দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি এখনও পরিকল্পনার পর্যায়ে রয়েছে, তবে পশ্চিমা মিত্ররা সম্ভাব্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশ হিসেবে এ নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। চারজন সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কারণে ড্রোন, স্যাটেলাইট ও গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে এ অঞ্চলে মূল নজরদারি চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তারা একা নয়, অন্যান্য দেশও এতে অংশ নেবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওই বাফার জোনে ন্যাটো দেশ নয় এমন রাষ্ট্রের সেনারা মোতায়েন হতে পারে। জানা যায়, এজন্য সৌদি আরব কিংবা বাংলাদেশকে বিবেচনা করা হচ্ছে। মার্কিন সেনাদের ইউক্রেনে মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অবশ্যই এ পরিকল্পনায় রাজি হতে হবে। যেহেতু ন্যাটো সম্পৃক্ততা তার কাছে অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়, তাই ন্যাটোর উপস্থিতি এড়ানো হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও অ-ন্যাটো দেশের সেনাদের উপস্থিতির বিষয়ই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এই প্রস্তাব সামনে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের গত ১৫ আগস্ট আলাস্কায় বৈঠকের পর। যদিও ওই বৈঠকের পর শান্তিচুক্তির অগ্রগতি থেমে গেছে, তবুও মিত্র দেশগুলো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার বৈঠক করে পরিকল্পনার আনুষ্ঠানিক রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে কয়েকটি দেশ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এক্স-এ জানিয়েছেন, স্থল, নৌ, আকাশ ও সাইবার নিরাপত্তায় প্রত্যেক দেশের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে। তবে গত শুক্রবার পুতিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইউক্রেনে বিদেশি সেনাদের উপস্থিতি তিনি মেনে নেবেন না। তার দাবি, যদি সত্যিই দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আসে, তবে এমন বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, চুক্তি হলে তা পূর্ণভাবে মেনে চলবে রাশিয়া।

আরও পড়ুন

এছাড়া বাফার জোন কার্যকর হলেও সেটির নিয়মকানুন কী হবে-কোন ধরনের রুশ অনুপ্রবেশ প্রতিক্রিয়ার যোগ্য হবে এবং প্রতিক্রিয়া কী রকম হবে-তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। পরিকল্পনার আরেকটি অংশ হলো ইউক্রেনের অর্থনীতি সচল রাখা। এজন্য তুরস্ককে কৃষ্ণসাগর পথে বাণিজ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে বলা হতে পারে। এর আগে রাশিয়া আগ্রাসনের পর ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির পথ খোলা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তুরস্ক।

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মুখের দুর্গন্ধ এড়াতে যা করবেন

২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল যে ১৭ দেশ

গোয়ালন্দে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কায় নিহত ২

ফরিদপুরে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে আহত ২০

আমার বাড়ি ভেঙে যদি দেশের শান্তি হয় আমি রাজি: কাদের সিদ্দিকী