পঞ্চগড়ে জুয়া খেলা নিয়ে নিরাপত্তা প্রহরী খুন : পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের টুনিরহাট বাজারের নিরাপত্তা প্রহরী রফিকুল ইসলাম (ডুবু) খুনের প্রায় একমাস পর প্রধান আসামি আরমান ইসলাম আমজাদকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে তাকে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের সাহেববাজার এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আমজাদ পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট প্রধানপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে আমজাদ। জুয়া খেলার দ্বন্দ্বের জেরেই বৃদ্ধ ডুবুকে খুন করে আমজাদ এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী।
পুলিশ সুপার জানান, হত্যার শিকার নিরাপত্তা প্রহরী বৃদ্ধ রফিকুল ইসলাম ডুবু (৭০) দীর্ঘদিন ধরে টুনিরহাট বাজারের মাহবুব আলম প্রধানের খড়ি ঘরে থাকতেন। বাজারের কাছেই তার বাড়ি। বৃদ্ধ বয়সেও জুয়া খেলা ছিলো তার নেশা। ৪ আগস্ট দিবাগত গভীর রাতে টুনিরহাট বাজারেই হত্যাকারী আরমানের সাথে তাস খেলতে শুরু করেন তিনি। ৪শ’ করে টাকা তারা বোর্ডে রাখেন।
খেলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে চাল নিয়ে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। আরমান টাকা নিয়ে চলে যেতে চাইলে বৃদ্ধ রফিকুল সুপারি কাটার জন্য ব্যবহৃত চাকু দিয়ে আমজাদের পিঠে আঘাত করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমজাদ ওই চাকু কেড়ে নিয়ে রফিকুলকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
আরও পড়ুনপরদিন তার গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন অজ্ঞাতনামা আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেন।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, সম্প্রতি যে কয়েকটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তার বেশিরভাগই রহস্য উন্মোচনসহ আমরা আসামিদের গ্রেফতার করেছি। শিগগিরই আরও দু’টি হত্যাকান্ডের আসামিদেরও গ্রেফতার করা হবে।
ওই বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আমরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিকে শনাক্ত করি। এরপর তার ওপর নজরদারি করা হয়। গ্রেফতারের দিন তার ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পুলিশ ঠিক সময়েই তাকে গ্রেফতার করেছে। এমনকি সে আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
মন্তব্য করুন