বগুড়ার দুপচাঁচিয়া কইল রাস্তার কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া উপজেলার কইল-দোগাছি ভায়া আলতাফনগর রাস্তার কাজ ৮ মাস আগে ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও হয়েছে। ফলে যানবাহনসহ সাধারণ মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলার তালোড়া ইউনিয়নের কইল গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র মাটির রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও পাকা না হওয়ায় এলাকার মানুষকে চরম কষ্টে যাতায়াত করতে হয়। এই কইল গ্রামেই উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কইল হাটসহ অনেক কুটির শিল্প রয়েছে।
রাস্তাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দোগাছি-–কইল ভায়া আলতাফনগর সড়কটি পাকা করণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নির্বাচিত করা হয়। প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্বাচিত ঠিকাদার প্রায় ৮মাস আগে প্রকল্পটির কাজ শুরু করে। রাস্তার বক্স কাটিং করে বালুও ভরাট করা হয়। এরপরে ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখে উধাও হয়ে যায়। এই বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি নামলেই রাস্তায় পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়ে মানুষেরা স্বাভাবিক চলাচল করতে পারছে না।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক মেম্বার অশোক দেব, গ্রামবাসী মোস্তাফিজার রহমান, মহসিন শেখ, শহিদুল ইসলাম সরদার সহ অনেকেই জানান নির্বাচিত ঠিকাদার জানুয়ারি মাসে কাজ শুরুর পর রাস্তার উপরে মাটি কেটে ঐ মাটিগুলো বিক্রি করে দেয়।
আরও পড়ুনএরমধ্যে কিছু বালি ভরাট করে ঠিকাদার উধাও হয়ে যায়। ৮ মাস যাবৎ রাস্তাটি ফেলে রাখায় ঘণবসতিপূর্ন এই এলাকার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টিতে রাস্তাটি কাদায় পরিনত হয়। এর আগে এলাকাবাসী কাদার মাঝে ধান গাছের চারা রোপন করে প্রতিবাদ জানানোর পরেও কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।
আজ শুক্রবার (২২ আগস্ট) এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রুবেল হোসেন জানান, নির্বাচিত ঠিকাদার কাজ শুরুর পরেই বৃষ্টির কারনে কাজ বন্ধ রাখে। এখন পুরো বর্ষাকাল চলছে। বৃষ্টির কারণেই কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করেছেন, বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পরই রাস্তার কাজটি শুরু করে দ্রুত শেষ করবেন বলেও জানান।
মন্তব্য করুন