বরাদ্দ না পাওয়ায় সংস্কার হচ্ছে না
বগুড়ার সোনাতলায় শিক্ষা-বাণিজ্যিক এলাকার সড়কের বেহাল দশা

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার তেকানী চুকাইনগর-মহেশপাড়া সড়কে বেহাল দশা। ওই সড়কে বন্যার পানির স্রোতে কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হলেও তা দীর্ঘদিনে মেরামত করা হয়নি। ফলে পুরো সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে।
উপজেলার পূর্ব প্রান্তে তেকানী চুকাইনগর এলাকা। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার পূর্বে ওই এলাকার অবস্থান। যমুনা ও বাঙালি নদীর মধ্যবর্তী এলাকা তেকানী চুকাইনগর। ২০১৮ সালে এলজিইডি প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে তিন কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং করে। এরপর ২০২০ সালের বন্যায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ধসে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও ২০২২ ও ২০২৩ সালের বন্যার পানির স্রোতে সড়কটির এক-তৃতীয়াংশে কার্পেটিং উঠে যায়। এছাড়াও মহেশপাড়ায় বন্যার পানির স্রোতের তোড়ে ব্রিজ ধসে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এরপর এলাকাবাসীর দাবির মুখে সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ করে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করলেও আজ পর্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির মেরামত ও সংস্কার করা হয়নি।
ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এলাকাবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ওই সড়কের পাশে রয়েছে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দু’টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কলেজ, একটি দাখিল মাদ্রাসা ও অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এনজিও প্রতিষ্ঠান ও তেকানী চুকাইনগর কাচারি বাজার-হাট।
আরও পড়ুনএবিষয়ে ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন মাস্টার, ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোকারম হোসেন মাস্টার বলেন, এটি একটি শিক্ষাবান্ধব এলাকা। এছাড়াও যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকা হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে এলাকাটি উপজেলার অন্য এলাকার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই জনবসতিপূর্ণ এবং শিক্ষা ও বাণিজ্যিক এলাকার রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও মেরামত না করায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে।
বর্ষার সময় নৌকাযোগে যাতায়াত করা গেলেও শুষ্ক মৌসুমে এই সড়ক দিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা যায় না। উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, সড়কটি সংস্কার করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ পাওয়া গেলে টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
মন্তব্য করুন