বগুড়ায় স্কুলছাত্র রনি হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

কোর্ট রিপোর্টার : বগুড়ায় স্কুলছাত্র রনি আকন্দ (১২) হত্যা মামলার রায়ে অভিযুক্ত আসামি রানা মন্ডল ওরফে রানাকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আসামি রানা জামিনে যাবার পর থেকে পলাতক রয়েছে এবং গ্রেফতারের পর থেকে তার সাজা কার্যকর হবে।
সাজাপ্রাপ্ত রানা মন্ডল সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচী গ্রামের তারা মন্ডলের ছেলে। এই মামলার অপর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়। বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত নং-৩ এর বিচারক মো. লুৎফর রহমান শিশির গতকাল বুধবার এই মামলার রায় দেন।
উল্লেখ্য, বগুড়া শহরের ধাওয়াপাড়ার শামশুল আলম ও নাছিমা বেগমের ছেলে রনি সাবগ্রাম কুদরতিয়া স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করত। ধাওয়াপাড়ায় তাদের বাড়ির পাশে তুলি ও মুক্তারের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাসকারী সাজাপ্রাপ্ত আসামি রানা মন্ডল ওরফে রানা বিগত ২০০৮ সালের ১২ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে তাদের বাড়িতে এসে স্কুলছাত্র রনিকে বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। রনি যাওয়ার সময় তার বাইসাইকেলটি নিয়ে যায়।
আরও পড়ুনপরে রাত ১০টা পর্যন্ত রনি বাড়িতে না ফিরে আসায় তার মা নাছিমা বেগম সাজাপ্রাপ্ত আসামির মা অহেলাকে জিজ্ঞাসা করলে পরের দিন আসবে বলে জানায়। এরপর রনির মা বিভিন্ন স্থানে তার ছেলে রনির খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, সোনাতলা উপজেলার শ্যামবুর (শ্যামনুর) গ্রামের জনৈক অছিম উদ্দিনের বাড়ির পশ্চিমে হাত-পা বাঁধা খড়-পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা একটি লাশ পাওায়া গেছে। ওই সংবাদ পেয়ে রনির মা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি তার ছেলে রনির বলে শনাক্ত করেন।
এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানায় নিহত রনির মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামি রানা মন্ডলকে গ্রেফতার করে। রানা মন্ডল হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। মামলাটি তদন্ত শেষে এসআই মাহবুবুল আলম ওই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি পরিচালনা করেন বাদি রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি এড. এজেএম শামছুদ্দিন স্বপন এবং আসামি পক্ষে এড. এসএম নুরুজ্জামান মেহেবুব ও এড. জাকির হোসেন।
মন্তব্য করুন