ভিডিও মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল

জয়পুরহাটে এনেস্থিসিয়া ডাক্তারের অভাবে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না ১০ শয্যার আইসিইউ

জয়পুরহাটে এনেস্থিসিয়া ডাক্তারের অভাবে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না ১০ শয্যার আইসিইউ

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে দুই বছর আগে চিকিৎসাসেবার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তত হলেও শুধুমাত্র এনেস্থিসিয়া ডাক্তারের অভাবে ১০ শয্যার আইসিইউ চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে হৃদরোগীসহ মুমূর্ষু রোগীদের চরমদুর্ভোগ পেহাতে হচ্ছে। আইসিইউ চালু না থাকায় হৃদরোগী ও মুমূর্ষু রোগীদের রেফার্ড করতে হয়। ফলে সময়মত চিকিৎসা না পাওয়াতে রেফার্ডকৃত অনেক রোগীর পথিমধ্যেই মৃত্যু ঘটে।

জানা যায়, ২০২২ সালে করোনার রোগীদের জন্য ১০ শয্যার আইসিইউটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত যন্ত্রপাতি ও স্থানীদের আর্থিক সহায়তায় জয়পুরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ৪র্থ তলায় স্থাপন করা হয়। কিন্তু সম্পূর্ণ সচল আইসিইউটি শুধুমাত্র এনেস্থিসিয়া ডাক্তারের অভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি। জানা যায়, করোনার সময় রোগীদের করোনা রোগের হাত থকে বাঁচানোর জন্য আইসিইউ জরুরি হয়ে পড়ে।

তখন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে আইসিইউ চালুর জন্য স্বাস্থ অধিদপ্তর পাঁচটি ভেন্টিলেটর, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, এজিডি মেশিন প্রেরণ করে, যার মূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা। এছাড়াও ১০টা বেড, ১০টি কার্ডিয়াক মনিটর, ১০টি সিরিঞ্জপাম্প ও বাইপাপ সিপাপ কেনোলা মেশিন জেলা পরিষদ ও স্থানীয় এনজিও এবং ব্যক্তিবর্গের আর্থিক সহায়তায় কেনা হয়, যার মূল্য প্রায় ৫৫ লাখ টাকা।

এছাড়া আইসিইউ চালু করতে ইতিমধ্যে ১৬ জন নার্সকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থকে ২৮ দিনের প্রশিক্ষণ করেও নিয়ে আসা হয়। জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপালে শুধুমাত্র একজন এনেস্থিসিয়া ডাক্তার রয়েছে। কিন্তু ওই আইসিইউ ২৪ ঘণ্টা রোগীর সেবা দিতে বা চালু রাখতে ছয়জন এনেস্থিসিয়া ডাক্তার প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

আর শুধু এই ছয়জন এনেস্থিসিয়া ডাক্তারের অভাবে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। আর এর জন্য হৃদরোগী ও মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা না দিতে পারায় তাদের বগুড়া শজিমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড করতে হচ্ছে। সময়মত চিকিৎসা না পাওয়াতে রেফার্ড হওয়া ওই রোগীদের অনেকের পথিমধ্যেই মৃত্যু ঘটছে। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় অনেক রোগী বাইরে চিকিৎসার জন্য যেতে পারেন না। ফলে চিকিৎসার অভাবে তাদের মৃত্যুবরণ করতে হয়।

হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ছয়জন এনেস্থিসিয়া ডাক্তারের জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে। এনেস্থিসিয়া ডাক্তার পাওয়া গেলে দ্রুতই আইসিইউ চালু করা হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুই সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি পরীমনি

ডাকসু নির্বাচন:  প্যানেল ঘোষণা করলো ছাত্রসংগঠনগুলো

বগুড়ার সোনাতলায় হাট-বাজারে প্রচুর আমন ধানের চারার আমদানি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

বগুড়ায় ১৯ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিলেন পুলিশ সুপার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষক হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন