ভিডিও রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫

গানে গানেই এগিয়ে যেতে চান শাপলা পাল

গায়িকা শাপলা পাল

অভি মঈনুদ্দীন ঃ শাপলা পাল চট্টগ্রামের মেয়ে। গানের ভুবনে তার পথচলা মা সঞ্জু পালের হাত ধরে। মায়ের কাছেই তার গানে হাতেখড়ি। তবে যেহেতু ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিলো বড় হয়ে গায়িকা হবেন, তাই ছোটবেলা থেকেই শুদ্ধ সুরে সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন তিনি একে একে ওস্তাদ অরুন বণিক, রাখাল নন্দী ও সুরবন্ধু অশোক চৌধুরীর কাছে। মাঝে কিছুদিন চট্টগামের অগ্রনী সংঘ স্কুলেও গানে তালিম নিয়েছিলেন।

২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর অরজিৎ চৌধুরীরের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। একই বছরে তিনি ‘চ্যানেল আই সেরাকন্ঠ’তে অংশগ্রহন করে শীর্ষ দশে চলে আসেন। টপে না যেতে পারলেনও প্রয়াত বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহর তাকে বলা ‘টপটেন পর্যন্ত থাকা মানেই শেষ হয়ে যাওয়া নয়’-এই কথাটি মাথায় রেখে শাপলা গানের ভুবনে অরজিৎ-এর সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে থাকেন।

শাপলার মূল লক্ষ্যই ছিলো মৌলিক গান করার। প্রকাশিত হয় তার প্রথম মৌলিক গান ‘মনের সীমানা’। প্রথম গানেই দারুণ সাড়া মিলে। অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে যান আগামীর পথে। এরপর একে একে আরো প্রকাশিত হয় ‘বৃষ্টি পায়ে’,‘ রাং দে মোরা প্রিয়া’,‘ আমার ঘরে শ্রাবণ ঝড়ে’,‘ মন বলে’,‘ ধোঁয়ার শহর’,‘ বিনয় করিগো প্রিয়’সহ আরো বেশকিছু গান। এরইমধ্যে তার নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘শাপলা পাল’-এর মনিটাইজেসন আসার কারণে নিজের চ্যানেলেই এখন পূর্ণ মনোযোগ তার। নিজের চ্যানেলের জন্যই এখন মৌলিক গানে মনোযোগ তার। করছেন নতুন নতুন গান। প্রস্তুত আছে তারেক আনন্দ’র লেখা ও খায়রুল ওয়াসীর সুরে এবং উৎপল দাসের কথা, সুরে দুটি গান।

শিগগিরই মিউজিক ভিডিও শেষে ‘শাপলা পাল’ চ্যানেলে গানগুলো প্রকাশ পাবে। ঢাকায় আসার পর টানা বেশ কয়েকবছর সুজিত মোস্তফার কাছেও গানে তালিম নিয়েছেন। দুই সন্তান প্রত্যুষ ও শার্লিনকেও অনেক সময় দিতে হয়। কিন্তু তারপরও মনে প্রাণে শাপলা গানটাই করে যেতে চান।

আরও পড়ুন

আগামীর ভাবনা কী? এমন প্রশ্নের জবাবে শাপলা পাল বলেন,‘ আমার মা গান করতেন, বাবা গান ভীষণ ভালোবাসতেন। আমারও ছোটবেলা থেকে গানের প্রতি ভীষণ ঝোক ছিলো। বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণে এবং আমার প্রবল ইচ্ছেতেই গায়িকা হবারই চেষ্টা আজও। গানে আমার আদর্শ বা অনুপ্রেরণা শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যাডাম। আর ভীষণ ভালোলাগে শ্রদ্ধেয় লতা জি’র গান গাইতে। কেন যেন বারবার মনে হয় যে এই দু’জন শ্রদ্ধেয় শিল্পী আমার মাথার উপর আশীর্বাদ হয়ে আছেন। তাদের কথা ভাবনায় রেখেই আমি গান গেয়ে যাই। ভীষণ ভালোলাগে, নিজেকে সত্যিকার অর্থেই খুঁজে পাই আমি স্টেজ শো’তে। সেখানেই পারফর্ম করতে আমার বেশি ভালোলাগে। তাই আগামীতে আরো বহুগুনে স্টেজ শোতেই নিজেকে ব্যস্ত করে তুলতে চাই। ধন্যবাদ মাকে ও অরিজিৎ’কে পাশে থেকে সবসময় সাহস দেবার জন্য।’

চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ মহিলা কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স করার পর ঢাকার একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে তিনি মিউজিকে এমএস করছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ার আদমদীঘির শিয়ালশন-জিনইর কোমরপুর সড়কের বেহাল দশা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা আসিফ

বগুড়ার ধুনট-গোসাইবাড়ি ভাঙাচোরা সড়ক যেন মরণফাঁদ, চরম জনদূর্ভোগ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে মাছ ধরার ধুম, চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে ডারকি, খোলশানির

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় উপজেলা বিএনপি

বগুড়ার ধুনটে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৭ জন আহত গ্রেফতার ২