বগুড়ার ধুনটে পাকা সড়ক ভেঙে নদীতে বিলীন, চলাচলে চরম দুর্ভোগ

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনট পৌর এলাকার সরকারপাড়া-ভরনশাহী জনগুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়কের প্রায় ১০ মিটার অংশ ভেঙে পাশের ইছামতি নদীতে চলে গেছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার কয়েক গ্রামের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আজ বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল ১১টায় সরেজমিন দেখা যায়, পৌর এলাকার ঐতিহ্যবাহী সরকার পাড়া থেকে পূর্ব ভরনশাহী গ্রাম পর্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির পূর্ব পাশ দিয়ে বহমান ইছামতি নদী। আর সড়কের পশ্চিম পাশে ফসলি মাঠ। তবে এই ফসলি মাঠটি নিম্নাঞ্চল। বর্ষা মৌসুমে এই মাঠে পানি জমে থাকে। এই সড়কটি ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে পৌরসভার অর্থায়নে পাকা করন করতে ব্যয় হয়েছে ৭৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
এদিকে কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে সড়কের পশ্চিম পাশের মাঠ পানি ভরে গেছে। মাঠের এই পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে মাঠে পানির প্রবল চাপে পাকা সড়কে সুড়ং হয়ে পানি চুইয়ে ইছামতি নদীতে গড়িয়ে গত মঙ্গলবার সড়কের প্রায় ১০ মিটার অংশ নদীতে বিলীন হয়েছে।
এই সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশেষ করে এলাকার কয়েক গ্রামের স্কুলগামী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সকলেই অনেক কষ্ট করে হেঁটে কোনোরকমে গন্তব্যে যাচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় লোকজন ওই সড়ক ধরেই ইজিবাইক, অটোরিকশা কিংবা মোটরসাইকেলে চলাচল করতেন। এখন ভাঙা অংশে যাতায়াত করতে হয় হেঁটে।
আরও পড়ুনঅটোরিকশাচালক হাসমত করিম বলেন, দুই দিন ধরেই পানি চুইয়ে একটুএকটু করে ধস নামছিল। মঙ্গলবার ভোরে যাত্রী নিয়ে এসে দেখলাম ভেঙে গেছে। পরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভাঙনের দৃশ্য দেখতেছিলাম। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা যানবাহন চালাতে পারব না।
স্থানীয় গৃহবধূ সুখি বেগম বলেন, নিয়মিত আমি এ পথে যাতায়াত করি। সেই রাস্তাটি ভেঙে গেছে। তাই আমাদের অনেকটা পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। আমরা এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।
ধুনট পৌরসভার প্রশাসক ও সহাকারী কমিশনার (ভূমি) খায়রুজ্জামান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ সড়কটি পরিদর্শনের পর সেখানে মাটি ভরাট করে আপাতত চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে সেখানে কার্পেটিং করে দেয়া হবে।
মন্তব্য করুন