সাগরিকার গোলে লাওসের বিপক্ষে প্রথমার্ধে এগিয়ে বাংলাদেশ

ঢাকায় হওয়া অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের স্মৃতি এখনো তাজা আফঈদা খন্দকারদের। প্রতি ম্যাচে আলাদা একাদশ নিয়েও বাংলাদেশ শিরোপা জেতে অপরাজিত থেকে। গত জুলাই মাসে ১১ দিনের ব্যস্ত সূচিতে ছয় ম্যাচে সব ফুটবলারকে পরখ করে দেখেছেন কোচ পিটার বাটলার। এরপরই লাওসে গেছেন অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে খেলতে।
প্রথম ম্যাচে বুধবার বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক লাওসের। প্রথমার্ধে সাগরিকার একমাত্র গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ।
জাতীয় দলকে প্রথমবার এশিয়ান কাপের মঞ্চে নিয়ে যাওয়া বাটলার এবার স্বপ্ন দেখতেই পারেন আরও একটি এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেওয়ার। তবে পথটা একটু কঠিন বলা যায়। কারণ, গ্রুপে যে রয়েছে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল দক্ষিণ কোরিয়া। সেই মিশনের শুরুতে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়ছে বাংলাদেশ। লাওসের জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে যদিও গোল পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার (১৯) মতো লাওসও (১০৭) র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১২৮) চেয়ে এগিয়ে। ব্যবধানটা অবশ্য বেশি নয়। আর এমনিতে মাঠের খেলায় র্যাঙ্কিং যে খুব একটা প্রভাব ফেলে না, এর প্রমাণ বাংলাদেশের মেয়েরা দিয়েছেন গত জুলাইয়ে। এশিয়ান কাপ বাছাই র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা মিয়ানমার ও বাহরাইনকে হারায় জাতীয় দল। সেই দলের বেশিরভাগ আছেন অনূর্ধ্ব-২০ এই দলে।
বাংলাদেশের আক্রমণভাগে সাগরিকা। বাম প্রান্তে শান্তি মার্ডি। ডান প্রান্তে শিখা। আর তৃষ্ণাও আক্রমণে বেশ সফল।
আরও পড়ুনম্যাচের ১ম মিনিটেই কর্ণার পায় বাংলাদেশ। যদিও স্বপ্নার কর্ণার থেকে গোল হয়নি। এরপর ৭ মিনিটে ফ্রি কিক নেন স্বপ্না। গোল হয়নি এবারও। তবে পোস্টের পাশ দিয়ে ঘেষে গেল বল।
১১ মিনিটে অবশ্য বাংলাদেশ গোল খেতে গিয়ে বেঁচে গেল। গোলকিপার স্বর্ণা নিজের পজিশনে ছিল না। পরে একজন ডিফেন্ডর সেভ করেন ।
১৩ মিনিটে অবশ্য শান্তি মার্ডির শট লাওসের গোলকিপার ধরে ফেলেন। আর ১৫ মিনিটে সাগরিকার ডাইরেক্ট শট গোলকিপার ধরে ফেলেন। এরপর ১৯ মিনিটে পূজা দাসের লং রেঞ্জের শট ফিস্ট করে কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা । কিন্তু ৩৬ মিনিটে ব্যর্থ হয়নি বাংলাদেশ। শান্তি মার্ডির কর্ণার থেকে সাগরিকা হেডে গোল করেন (১-০)। ৪১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতেই পারতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের। শিখার লং রেঞ্জের শট ক্রসবারে লেগে ফেরে।
মন্তব্য করুন