বগুড়ার সোনাতলায় বাঙালি পাড়ের মানুষের পারাপারে শেষ সম্বল ডিঙি নৌকা

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : সোনাতলায় বাঙালি নদীর দু’ধারের মানুষের পারাপারের শেষ সম্বল এখন ডিঙি নৌকা। উপজেলা সদর থেকে ৭/৮ কিলোমিটার দক্ষিণে মোনার পটল গ্রাম। ওই গ্রামের পশ্চিমে হলিদাবগা গ্রাম। ওই দুই গ্রামের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বাঙালি নদী। নদী পারাপারে মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
ওই নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বাঙালি হাট। প্রতি শনিবার ও বুধবার হাট বসে। হাটে কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে আসেন। এছাড়াও প্রতিনিয়ত স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে ডিঙি নৌকায়। ডিঙি নৌকাই যেন,নদীর দু’পারের মানুষের শেষ সম্বল। অনেক সময় নদী পারাপার হতে গিয়ে স্বাধীনতার পর কমপক্ষে এক ডজন নারী ও শিশু প্রাণ হারিয়েছে ওই খেয়া ঘাটে।
এলাকাটি কৃষি প্রধান। ওই এলাকার ৮৫ ভাগ মানুষ সরসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত। অনেক সময় তাদেরকে উৎপাদিত কৃষি পণ্য ৮/৯ কিলোমিটার পথ ঘুরে বাজারে যেতে হয়। এ বিষয়ে মোনারপটল গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ডিঙি নৌকায় পারাপারের সময় আমরা খুব অসহায় বোধ করি। কখন যেন, গভীর নদীতে নৌকা ডুবে জীবন প্রদীপ নিভে যায়। এ খেয়া ঘাটে ব্রীজ নির্মাণ করা হলে এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হবে।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে স্থানীয় জোড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী বলেন, এটি একটি জনগুরুত্বপুর্ণ খেয়া ঘাট। এ খেয়া ঘাটের দু’পাশের লোকজন দরিদ্র সীমার নীচে বসবাস করেন। রাত পোহালেই জীবন জীবিকার তাগিদে জেলা সদরে রিক্সা-ভ্যান, অটোরিক্সা চালাতে যান। এমনকি অনেক সময় খেয়া ঘাটে নৌকা না থাকায় মুমূর্ষ রোগীরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, উক্ত খেয়াঘাটে প্রায় ৩শ’ ফুট ব্রীজের প্রয়োজন। এতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকা। এত বিপুল পরিমান টাকা বরাদ্দ নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকার ছাড়া সম্ভব না। তবে এলাকাবাসিদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠাবো।
মন্তব্য করুন