ভিডিও শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আনুপাতিক ভোট স্বৈরাশাসনের দিকে ঠেলে দেবে: রুহুল কবীর রিজভী

আনুপাতিক ভোট স্বৈরাশাসনের দিকে ঠেলে দেবে: রুহুল কবীর রিজভী, ছবি : দৈনিক করতোয়া

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : আনুপাতিক ভোটের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আনুপাতিক ভোট কিসের জন্য। এই আনুপাতিক ভোট হলে তো এলাকায় কোন নেতা তৈরি হবে না। স্থানীয় পর্যায়ে আর কোন নেতৃত্ব থাকবে না। সেটা তো আরও বেশি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে। তাই চিরায়ত গণতন্ত্রের যে ভোট আমরা সেটাই চাই। যারা বৈধ ভোটার তারা ভোট দিয়ে তার এলাকার জনপ্রতিনিধি বানাবে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড় দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। রুহুল কবীর রিজভী বলেন, একটা লোক দীর্ঘদিন মানুষের জন্য কাজ করতে করতে নেতা হয়েছেন। আনুপাতিক ভোটে এই নেতাকে নয় দলকে ভোট দেওয়া হবে। দল তখন বেছে বেছে এমপি ঘোষণা করবে। তাছাড়া ১৮ কোটির দেশে যেখানে প্রায় ১২ কোটি ভোটার সেখানে আনুপাতিক ভোটের কথা বলছেন কিসের জন্য। যে গণতন্ত্রের জন্য এতো জীবন, এত রক্তদান। বছরের পর বছর কারাগারে থাকা। তাহলে কি লাভ হইলো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে। তিনি আরো বলেন, বিগত ১৬ বছর কোন তরুণ বাড়িতে শান্তিমত ঘুমাতে পারেননি। কাকে ধরে নিয়ে যাবে আর কার রক্তাক্ত লাশ তিস্তা নদী, গঙ্গা নদী ও শীতলক্ষা নদীর পাড়ে পাওয়া যাবে সেটি ছিল তখনকার নিত্য দিনের ঘটনা। এই ভয়াবহ সময়ের মধ্যদিয়ে আমাদের পাড়ি দিতে হয়েছে ১৬ বছর। শেখ হাসিনার থাবা থেকে কেউ রক্ষা পায়নি। সেই রক্ত পিপাসুরা দেশে আবারও ফিরতে পারে? এজন্য গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য দরকার। যাতে করে রক্ত পিপাসুরা দেশে আর ফিরতে না পারে।

স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং এর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. জাহিদ হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা: আউয়াল, রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডনসহ ড্যাবের নেতৃবৃন্দ ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং এর আয়োজন করে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

আরও পড়ুন

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র মানে হচ্ছে আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে মুক্ত কণ্ঠে সমালোচনা করবো। ভিন্ন মত প্রকাশ করবো। কিন্তু দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আবার এক হয়ে যাবো। বিগত ১৬ বছর বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন জুলুম চালিয়েও বিএনপির মধ্যে ফাটল ধরাতে পারেননি। সামান্যতম টলাতে পারেননি। গুম, খুন, নির্যাতনের পরও বিএনপি ঐক্য ধরে রাখতে পেরেছে। তাই গণতন্ত্রের আন্দোলনে বিএনপি সবসময় আপোষহীন। বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোন চাঁদাবাজি, দখলবাজির সাথে বিএনপির কোন অঙ্গ সংগঠনের কোন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জড়ানো যাবে না। বিএনপির নেতাকর্মীর কাজে আচরণে যাতে মানুষ কষ্ট না পায়। বিএনপির কাছে মানুষ যেন ন্যায় বিচার পায় সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। আর যদি কেউ চাঁদাবাজি, দখলবাজির সাথে জড়িত থাকে দল সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এ ব্যাপারের কোন ছাড় নেই।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জবি থেকে ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা টুইন সিটিজ, স্বপ্ন পূরণ প্রতীতি সাহা'র

চট্টগ্রামের প্রবীণ আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা কছির উদ্দিন আহমেদ মারা গেছেন

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি:  বগুড়ার আদমদীঘিতে একজনের এক মাসের কারাদন্ড

ঝিনাইদহে সরকারি কর্মকর্তার কাছে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নামে চাঁদা দাবি

বগুড়ার নন্দীগ্রামে অসুস্থ দম্পতির পাশে ইউএনও

বগুড়া প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর