ভিডিও রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

কদম ফোটা আষাঢ়ের প্রথম দিন রোববার

বৃষ্টিহীন ভিন্ন রূপের বর্ষার আগমন দেখা যায়নি দুই বছর আগেও

বৃষ্টিহীন ভিন্ন রূপের বর্ষার আগমন দেখা যায়নি দুই বছর আগেও

স্টাফ রিপোর্টার : এমন বৃষ্টিহীন ভিন্ন রূপের বর্ষাকালের আগমন দেখা যায়নি দুই চার বছর আগেও। বাংলাদেশের ঋতুতে আষাঢ় ও শ্রাবণে বর্ষা, বৃষ্টি, কদম ফুল মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ছবি। যথাসময়ে বর্ষা ঋতু শুরু হয়েছে, ফুটেছে অনেক গাছে কদমও।

কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। কাঠফাটা রোদে মানুষের নাভিশ্বাস। তাপমাত্রা যতটা দেখায়, গরমের বোধ তার চেয়ে ন্যূনতম ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি অনুভূত হচ্ছে এবার। কখনও কখনও মরুর দেশের মতই গরম পড়ছে এই সবুজ দেশে। মেঘ-বাদলার দিনে চলছে বৃষ্টির বদলে প্রখর রোদ। ভ্যাপসা গরমে মুহুর্তে দর দর ঘেমে ভিজে যাচ্ছে  সমস্ত শরীর কাপড়। বর্ষাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও।

আবহাওয়াবিদদের মতে বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। গত দুই দশকেও এ ধরণের বৃষ্টিহীন বর্ষার আগমন দেখেনি অনেক প্রবীনরাও। আষাঢ় ও শ্রাবণ মিলে বর্ষাকাল। গ্রীষ্মের দাবদাহ শেষে আষাঢ়ে প্রকৃতি যেন প্রাণ ফিরে পায়। বর্ষার স্বাভাবিক স্বভাব হিসেবে গ্রীষ্মের রুদ্র প্রকৃতির গ্লানি আর  জরাকে ধুয়ে মুছে প্রশান্তি আর সবুজে ভরে তোলে।

তবে বর্ষা তার রূপের চ্ছটায় তপ্ত প্রকৃতিকে ঠান্ডা করে তুলতে পারেনি। বর্ষার আগের তিন মাস জুড়েও তেমন উল্লখযোগ্য হারে ছিল না বৃষ্টি। আকাশে বিক্ষিপ্ত মেঘের আনাগোনা থাকলেও বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র খরতাপে জনজীবন অতিষ্ট । ফলে বর্ষাকালেও মানুষকে ভ্যাপসা গরমের অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়েই চলতে হচ্ছে।

এদিকে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র রোদে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি খাত। উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকার আবাদি জমি এর মধ্যে পানিশূণ্য হয়ে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। অন্যান্য বছর এ সময়ে পানিতে ভরা জমিতে আমনের চারা বুনলেও এবারে বৃষ্টির অভাবে তা বুনতে পারছেন না। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার প্রভাব কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনে পড়বে।

এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় বৃষ্টিনির্ভর কৃষিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এই বাড়তি খরচে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও কম বৃষ্টিপাত পরিবেশের ওপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ষড়ঋতুর এই দেশে এখন আর নেই ঋতু বৈচিত্র্য। শীতের সময়কাল কমে গেছে সব মিলিয়ে পরিবেশের একটা পরিবর্তন সকলেই লক্ষ্য করছেন।

আরও পড়ুন

এদিকে টানা দাবদাহের কারণে হাসপাতালগুলোতে রোগি বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে  চিকিৎসকরা বলছেন, এবার বর্ষা শুরুর পরেও গরম না কমার কারণে এবং প্রচণ্ড তাপে শরীর পানিশূন্য হয়ে যাওয়া ও জ্বর, শরীর ব্যাথার উপসর্গ নিয়ে অনেকেই আসছেন।

সাধারণত বর্ষার পরে শরতের শেষে এসে গরম বেড়ে যাওয়ায় পরে জ্বর, সর্দি, কাশি বাড়তে দেখা যায়। এবার পুরো সময়েই এই ধরনের রোগি বেশি। হাসপাতালে এখন চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের ৮০ শতাংশই আসছে জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যা নিয়ে।

বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমী বায়ু দেশের সীমার মধ্যে ঢুকে পড়েছে। এখন যেহেতু বর্ষাকাল এখন বৃষ্টিপাত হবে। গরম বেশি হওয়ার ব্যাপারে  তিনি বলেন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় তাপমাত্রার চেয়ে বেশি গরমের অস্বস্তি বেশি অনুভূত হচ্ছে।

আজ শনিবার (১৪ জুন) বগুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪  ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল সকাল ৬ টায় ৭৩ শতাংশ।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপদেষ্টাকে নিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তীব্র প্রতিবাদ

ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানালো সৌদি, প্রিন্স সালমান-পেজেশকিয়ান ফোনালাপ

গোপালগঞ্জে একই স্থানে ৬ গাড়ির সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ২

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে নিহত ১০, আহত দুই শতাধিক

কুড়িগ্রামে এখনও বিতরণ করা হয়নি ভিজিএফ এর ১৮ মে.টন চাল

দীর্ঘদিন বন্ধ করে রাখা বাগাতিপাড়ার ‘ইউএনও পার্ক’ এখনও খোলা হচ্ছে না