ভিডিও শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

এবার রংপুরে ৩শ’ কোটি টাকার হাড়িভাঙ্গা আম বিক্রির সম্ভাবনা

এবার রংপুরে ৩শ’ কোটি টাকার হাড়িভাঙ্গা আম বিক্রির সম্ভাবনা

রংপুর প্রতিনিধি : প্রতিবছর হাড়িভাঙ্গা আম জুনের তৃতীয় সপ্তাহে বাজারজাত শুরু হলেও এবার আগেই রংপুরের হাটবাজারে পাওয়া যাবে আঁশহীন সুস্বাদু এ আম। আম চাষিরা জানান, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে এবার ৩শ’ কোটি টাকার আম বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ঈদের এক সপ্তাহ পরেই বাজারে পাওয়া যাবে এ আম। শেষ সময়ে তাই আমের বিশেষ পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগানিরা। আম চাষি লিটন মিয়া জানান, ঈদের পর আমের হাট শুরু হবে। এসময় যেন আমে কোনো সমস্যা না হয় সে জন্য ঘন ঘন স্প্রে করছেন তিনি। আমের রঙ যেন ঠিক থাকে সেদিকে বাড়তি সতর্ক তারা। সবঠিক থাকলে এবার ব্যবসা ভালো হবে বলে আশাবাদী সকলে।

রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক হাবিবুর রহমান জানান, চলতি বছর আবহাওয়া গরম থাকায় এক সপ্তাহ আগেই হাড়িভাঙ্গা আম বাজারজাত করা যাবে। তবে রফতানিযোগ্য আম সংগ্রহ করতে ২০ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, সঠিকভাবে আম উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারজাত পর্যন্ত কৃষকদের সবধরণের সহযোগিতা করেছেন তারা।

১৯৯২ সাল থেকে হাঁড়িভাঙা আমের সম্প্রসারণ শুরু হয় মিঠাপুকুর উপজেলার আখিরাহাটের আব্দুস সালাম সরকারের হাত ধরে। তার হাত ধরেই রংপুর অঞ্চলের মানুষ এখন অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভের আশায় আম চাষে ঝুঁকেছেন।

আরও পড়ুন

রংপুর সদর, মিঠাপুকুর ও বদরগঞ্জ উপজেলাসহ বিভাগের অনেক বিস্তৃত এলাকার ফসলি জমি, বাগানসহ উঁচু-নিচু ও পরিত্যক্ত জমিতে চাষ হচ্ছে এই আম। রংপুর বিভাগে এ বছর প্রায় তিন হাজার ২শ’ হেক্টর জমির বাগানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন আম। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩শ’ কোটি।

আব্দুস সালাম সরকার বলেন, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হাঁড়িভাঙা আমের চাষ করছেন। অর্থনীতির জন্য হাড়িভাঙ্গা আম সংরক্ষণের জন্য হিমাগার স্থাপন, আধুনিক আমচাষ পদ্ধতি বাস্তবায়ন ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে দাবিগুলো উপেক্ষিত হলেও আমের উৎপাদন ও বাগান সম্প্রসারণ থেমে নেই। সরকার একটু দৃষ্টি দিলেই হাড়িভাঙ্গাকে ঘিরে এই অঞ্চলের অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে বলে জানান তিনি।

চাষিরা বলছেন, হাড়িভাঙ্গা আম পাকলে তিন-চার দিনের বেশি রাখা যায় না। সংরক্ষণের কোনো কার্যকর পদ্ধতি নেই। যদি এই আম সংরক্ষণের সঠিক প্রক্রিয়া থাকত, তাহলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হতো। রংপুর কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাড়িভাঙ্গা আম সংরক্ষণের ওপর কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করছে। তবে কবে নাগাদ গবেষণার ফল আসবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত ফ্রান্সের

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান

কালুরঘাট সেতুতে দুর্ঘটনা: বরখাস্ত ৪ রেলকর্মী

‘কালো মানিক’কে গ্রহণ করেননি খালেদা জিয়া

করোনায় ঢাকায় ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩

কালুরঘাট সেতুতে ট্রেন-অটোরিকশা-বাইক সংঘর্ষ