পাবনা বেড়ার করমজা চতুহাটে সরবরাহ বাড়লেও চাহিদা কম বড় গরুর

বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার বেড়া পৌর এলাকার করমজা চতুহাটে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে গরুর সরবরাহ বেড়েছে চোখে পড়ার মতো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই শত শত গরু এই হাটে আসছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ছোট ও মাঝারি আকারের গরু যেখানে দ্রুত বিক্রি হচ্ছে, সেখানে বড় গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে না বললেই চলে।
হাটে আসা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভাষ্যমতে, এ বছর বড় গরু বিক্রি নিয়ে খামারিরা বিপাকে পড়েছে। এতে করে বড় গরু লালন-পালনে আগ্রহ কমে যেতে পারে খামারিদের। করমজা চতুহাট বেড়া পৌর এলাকার অন্যতম পুরনো ও প্রসিদ্ধ হাট।
বছরের বেশিরভাগ সময়ই এখানে গবাদিপশুর কেনাবেচা চলে, তবে কোরবানির ঈদের এক থেকে দেড় মাস আগে থেকেই এই হাটে ভিড় বাড়ে গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের। সপ্তাহে দুইদিন বসা হাট ঈদের সময় হাটজুড়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রলি ও ট্রাকভর্তি করে গরু আসে এই হাটে। ক্রেতারা সাধারণত তাদের আর্থিক সামর্থ অনুযায়ী কোরবানির পশু কিনে থাকেন।
সরেজমিনে উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় পশুর হাট বেড়া পৌর এলাকার করমজা চতুরহাটে গিয়ে প্রচুর গরু সরবরাহ লক্ষ্য করা গেছে। হাট ঘুরে দেখা যায়, মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা ছিল বেশি। ক্রেতাদের আগ্রহ ৮০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দামের গরুতে। হাটে প্রচুর বড় গরু উঠলেও সেসব বিক্রি হচ্ছে কম।
গত রমজানের ঈদে এই ষাঁড়টি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় কেনার জন্য কয়েজন সাধাসাধি করছিল। এখন তিন মাস লালনপালনে তার অতিরিক্ত খরচ হয়েছে আরও ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। অথচ বর্তমানে হাটে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকাতেও ষাঁড়টি নেওয়ার কেউ নেই। এবার বড় আকারের গরুর চাহিদা ও দামÑদুটোই কমে গেছে।
বড় গরু লালন-পালনকারী খামারিরা বলছেন, তারা ভবিষ্যতে ছোট বা মাঝারি গরুর দিকেই ঝুঁকবেন। বড় গরু পালনে খরচ বেশি আবার বিক্রি নিয়ে অনিশ্চয়তা। তাই ছোট গরুতে লাভ কম হলেও বিক্রির নিশ্চয়তা আছে।
মন্তব্য করুন