ভিডিও বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

রোদের তাপ এবং গরমে স্বস্তি পেতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কুলফি মালাই

রোদের তাপ এবং গরমে স্বস্তি পেতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কুলফি মালাই , ছবি: সংগৃহীত।

হাফিজা বিনা : সারাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও তাপদাহে জ্বলছে বেশিরভাগ এলাকা। এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের লোডশেডিং না থাকলেও এখানে তাপদাহে গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে ঠাণ্ডা পানীয়ের দিকে ঝুঁকছেন শিশু থেকে বড়রা। রোদের তাপ থেকে একটু ঠান্ডা অনুভব করার জন্য পথের আশে পাশে নানা পদের নানা ধরণের শুধু পানীয় নয়, বিক্রি বেড়েছে হরেক রকমের আইসক্রিম। শহরের সাতমাথা জজ কোর্টের সামনে,  স্কুল-কলেজের সামনে ছুটির পর এবং স্কুলে প্রবেশের আগে শিক্ষার্থীরা ও রিকশাওয়ালা, পথচারীরা ভিড় করছে কুলফি মালাই কেনার জন্য। কুলফি দোকানী আলমগীর হোসেন দুই হাতে কুলফি দিয়েও শেষ করতে পারছিলেন না। রোদের তাপ এবং গরম পড়ায় স্বস্তি পেতে কুলফি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে  ছোটদের মাঝে।

গ্রীষ্মের এই তীব্র তাপদাহে শহরের বেশি ব্যস্ত এলাকায় দেখা মেলে কুলফি মালাইয়ের। বিশেষ কায়দায় লাল কাপড়ে মোড়ানো একটা বড় সিলভার পাতিলের ভেতর থেকে বের করে আসছেন একটার পর একটা কুলফি। দুই হাতের তালু দিলে ঘষে ঘষে বিশেষ টিনের কৌটা থেকে কুলফি বের করে তাতে জুড়ে দিয়ে চলেছেন কাঠি।  প্রতিটি কুলফি বিক্রি করছেন ১০ টাকা করে। দীর্ঘ সময়ের  গরমে ঘেমে-নেয়ে একাকার হয়ে ভাপ ওঠা কুলফি মালাই পছন্দের তালিকায় প্রথম শিক্ষার্থীদের কাছে। গরমে কুলফি মালাই শব্দ কানে আসতেই অন্যরকম এক প্রশান্তি অনুভব করে ছোট-বড় সব শ্রেণির মানুষ। লাল রঙের কাপড়ে মোড়ানো সিলভারের পাতিলে দুধ, চিনি, এলাচ আর গরম মসলার মিশ্রণ করে টিনের কৌটায় ভরে লবন ও বরফ ভর্তি করে দুই এক ঘণ্টা রেখে জমিয়ে বানানো হয়  পছন্দের এই কুলফি মালাই।

গত কয়েকদিন হলো বগুড়ায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে তাপমাত্রাও কমে যায়। গতকাল আবার ও তাপমাত্রা  উঠেছে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকায় তাপমাত্রার অনুভব হয় আরও বেশি। এই অবস্থায় গতকাল শহরের সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে দেখা মেলে কুলফি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের। তার বাড়ি শহরের হরিগাড়ি ইসলামপুর এলাকায়।  স্কুল ছুটির পর  শিক্ষার্থী, পথচারীরা  কুলফি কিনছিলেন উৎসব করে।  দিয়ে শেষ করতে পারছিলেন না। একটা শেষ না হতেই আরও তিনজন এসে বলছে, আঙ্কেল কুলফি দেন। শিক্ষার্থীরা জানায়, এই গরমে এই আঙ্কেলের কুলফি খেতে খুব ভালো লাগে। কম টাকায়  ঠান্ডা ঠান্ডা খেতে স্বস্তি  হয়। এই জন্য গরমের ও রোদের সময় আমি প্রায়ই কুলফি মালাই খাই। 

জজ কোর্টের একটা মামলার ব্যাপারে সারিয়াকান্দি থেকে এসেছেন শফিকুল ইসলাম। পরপর দুটো কুলফি কিনে খেলেন শিক্ষার্থীদের সাথে দাঁড়িয়ে। বললেন, এই গরমের আরাম কুলফি মালাই। দাম কত সেটা বিষয় না। আইসক্রিম খেতে একরকম স্বাদ আর কুলফি কেতে আরেক রকম স্বাদ। তবে  এই কুলফিই ভালো লাগে তার কাছে। 

আরও পড়ুন

কুলফি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন জানান, তিনি একটা মুদি দোকান দিয়েছিলেন সেখানে তিনি  ব্যবসাটা এগিয়ে নিতে পারেননি। বেশকিছু টাকা লোকসান করেছেন। তারপর কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। তিন মেয়ের বাবা আলমগীর কুলফি বানানো শিখে নিয়ে শুরু করেছেন এই ব্যবসা। তিনি প্রতিদিন আড়াইশ’ কুলফি বানিয়ে নিয়ে শহরের বিভিন্ন ব্যস্ত এলাকায় বিক্রি করেন। তার খরচ হয় ১৭শ’ টাকা। তিনি আরও জানান, তার মতো আরও পাঁচজন ব্যবসায়ী আছেন বগুড়ায়। এই ব্যবসায় খাটনির চেয়ে লাভ কম। সবসময় বিক্রি একরকম হয় না। রোদের তীব্রতা বেশি হয়ে গরম বেশি অনুভূত হলেই কুলফি বিক্রি বেড়ে যায়। গরম বেশি হওয়ায় এখন কুলফি বিক্রি বেড়েছে।

 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পদত্যাগ করতে পারেন ফারুক,আলোচনায় আমিনুল

পুশইনে ব্যর্থ হয়ে ককটেল ফাটিয়ে ফিরে গেল বিএসএফ

শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়ের আওতায় দেশ

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

পাকিস্তানের কাছে হারলো বাংলাদেশ দল

বাংলাদেশকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিলো পাকিস্তান