সাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়নি বিসিবির

এই মুহূর্তে সাকিব আল হাসানের দেশে এসে খেলার মতো পরিবেশ-পরিস্থিতি নেই। এটা সবারই জানা। তাই দেশের বাইরেই ভরসা। সেখানে আবার খেলতে সাকিবের আপত্তি। শুরুতে সে আপত্তির কথা জানালেও পরের দিকে সাকিব যখন দেশের বাইরে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাইলেন, তখন আবার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সমস্যা।
সবমিলিয়ে সাকিবকে জাতীয় দলে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বোলার সাকিবকে না পেয়ে শুধু ব্যাটার হিসেবে তাকে খেলানো কতটা যুক্তিযুক্ত হবে, ব্যাটার সাকিব দলকে কী দিতে পারবেন? সে প্রশ্নটা উঠে আসে। ফলে সাকিবের আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি।
শেষ খবর, বোলিং অ্যাকশন ত্রুটি শুধরে পাকিস্তানের সুপার লিগ পিএসএল খেললেন সাকিব। এদিকে পাকিস্তানের মাটিতেই তাদের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামবে টাইগাররা। আগামী পরশু ২৮ মে লাহোরে প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের।
পাকিস্তানের বিপক্ষে যে দলটিকে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে, তাতে নেই সাকিব। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের ফেরা নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। দেশসেরা অলরাউন্ডার কি আদৌ আর জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন? তবে কি তার সঙ্গে বিসিবির সম্পর্কটা চুকেবুকে গেল? এমন প্রশ্ন কিন্তু অনেকের মনেই ঘুরাপাক খাচ্ছে। সে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটি প্রধান ইফতিখার রহমান মিঠু জানালেন, না। সম্পর্ক চুকেবুকে যায়নি এখনো।
আরও পড়ুনআজ সোমবার দুপুরের পর শেরে বাংলায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে ইফতিখার রহমান মিঠু বলেন, ‘ডেফিনিটলি নট (সম্পর্ক শেষ নয়)। সাকিব তো প্রথম টুর্নামেন্ট খেললো (বোলিং অ্যাকশন) শোধরানোর পর। সেটা সামনে দেখার ব্যাপার। তবে সে বিশ্বমানের ক্রিকেটার। যে কোনো দলের জন্য সে একটা সম্পদ। আমাদের নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায় সবসময় থাকে।’
মিঠুর কথায় পরিষ্কার, বোলিং অ্যাকশন শুধরে মাঠে ফেরা সাকিবকে একটু ভালোমত দেখতে চাচ্ছে বিসিবি। মানে বোলার সাকিবের সামর্থ্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পেতেই একটু ধীরে চলো নীতি বোর্ডের। না হয় হয়তো তাকে দেশের বাইরে দলে টানা হতো। তাই মিঠুর মুখে এমন কথা, ‘সাকিব শুধরে যে এলো, এরপর মাত্রই তো দুটি (তিনটি) ম্যাচ খেললো। আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে দিন, তখন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।’
মন্তব্য করুন