ভিডিও রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

কান চলচ্চিত্র উৎসব ইরানি চলচ্চিত্রের বাজিমাত

কান চলচ্চিত্র উৎসব ইরানি চলচ্চিত্রের বাজিমাত

বিনোদন ডেস্ক : দীর্ঘ ২২ বছরের নির্বাসন ও নিষেধাজ্ঞার দেয়াল পেরিয়ে অবশেষে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাজিমাত করলেন ইরানের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা জাফর পানাহি। ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী আয়োজনে তার নতুন সিনেমা ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট’-এর জন্য তিনি জিতে নিলেন উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার পাম দ’অর। শনিবার (২৪ মে) রাতে এই ঘোষণা আসে।

ভ্যারাইটির প্রতিবেদনে জানা যায়, তেহরান সরকার ১৫ বছর ধরে পানাহির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছিল। শেষবার তিনি কান উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন ২০০৩ সালে, যখন তার প্রশংসিত চলচ্চিত্র ‘ক্রিমসন গোল্ড’ ‘আঁ সার্তে রিগা’ বিভাগে প্রদর্শিত হয়েছিল।

৬৪ বছর বয়সী এই নির্মাতার সঙ্গে এবার কানজুড়ে ছিলেন তার স্ত্রী, কন্যা এবং সিনেমার প্রধান অভিনেতা বাহিদ মোবাস্সেরিসহ অন্যান্য কলাকুশলীরা। ২০১০ সালে প্রথা বিরোধী প্রচারণার অভিযোগে ইরানের আদালত পানাহির ওপর ২০ বছরের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ ও বিদেশে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। যদিও বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোনো সক্রিয় মামলা বা আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা নেই বলে চলচ্চিত্রটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। 

কান উৎসবের আসরে সিনেমাটির প্রিমিয়ারে দর্শকদের আবেগঘন অভ্যর্থনায় জাফর পানাহি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি এই চলচ্চিত্রটি উৎসর্গ করেছেন ইরানে নিষিদ্ধ ঘোষিত সকল নির্মাতা, বিশেষ করে সেইসব নারী পরিচালক ও অভিনেত্রীদের, যারা নারীর অধিকারের দাবিতে আন্দোলনকারী কর্মীদের পাশে ছিলেন। ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট’ সিনেমার গল্প দর্শকের মন জয় করেছে।

আরও পড়ুন

সিনেমাপ্রেমীদের মতে সিনেমাটি কেবল একটি দুর্ঘটনা নয়-বরং এটি প্রতিরোধ, স্মৃতি ও ন্যায়বিচারের এক গভীর মানবিক দলিল। এর আগে ১৯৯৫ সালে ‘দ্য হোয়াইট বেলুন’ ছবির জন্য পানাহি কানের ক্যামেরা দ’ওর এবং ২০১৫ সালে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ট্যাক্সি’ সিনেমার জন্য গোল্ডেন বিয়ার পুরস্কার লাভ করেন। তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও তাকে এখনও গোপনে এবং আইনের বাইরে থেকেই সিনেমা নির্মাণ করতে হয়।

কান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫-এর বিজয়ীদের তালিকা-
পাম দ’অর (সেরা চলচ্চিত্র) : “ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট”, জাফর পানাহি
গ্রাঁ প্রি: “সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু”, জোয়াকিম ট্রিয়ার
জুরি পুরস্কার (যুগ্মভাবে) : “সিরাত”, অলিভার লাক্স এবং “সাউন্ড অব ফলিং”, মাসা সালিনস্কি
সেরা পরিচালক : ক্লেবার মেনডো ফিলো, “দ্য সিক্রেট এজেন্ট”
সেরা অভিনেতা : ওয়াগনার মৌরা, “দ্য সিক্রেট এজেন্ট”
সেরা অভিনেত্রী : নাদিয়া মেল্লিতি, “দ্য লিটল সিস্টার”
সেরা চিত্রনাট্য : জঁ-পিয়ের ও লুক দার্দেন, “ইয়াং মাদারস”
বিশেষ পুরস্কার : “রেজারেকশন”, বিগান
ক্যামেরা দ’অর (সেরা প্রথম চলচ্চিত্র) : “দ্য প্রেসিডেন্ট’স কেক”, হাসান হাদি
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পাম দ’অর : “আই’ম গ্ল্যাড ইউ’আর ডেড নাউ”, তাওফিক বারহোম
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘স্পেশাল মেনশন’ : “আলী”, আদনান আল রাজীব।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাস্তায় নামলে ইউনূস সাহেব ২৪ ঘণ্টাও থাকতে পারবেন না : গয়েশ্বর

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা

সাবের হোসেন চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নতুন মৌসুম শুরুর আগে পাকিস্তান ক্রিকেটের কোচিং স্টাফে রদবদল

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান বিচারপতি