বগুড়ার দুপচাঁচিয়া খলিশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কক্ষ সংকট, পরিত্যক্ত ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর খলিশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কক্ষ সংকটের কারণে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। এদিকে পরিত্যক্ত পুরাতন ভবনটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোন মুহূর্তে ভবনটি ধসে পড়ে শিক্ষার্থীদের প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৩৭ সালে প্রায় ৮০ শতক জায়গার ওপর জিয়ানগর ইউনিয়নের খলিশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে চার কক্ষবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনটি একই অধিদপ্তর থেকে ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে সংস্কারও করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় প্রায় ১২ বছর আগে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
পরিত্যক্ত ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রাতের আঁধারে মাদকসেবীরা নিরাপদ আখড়া হিসেবে ওই স্থানটি ব্যবহার করছে। এছাড়াও বারান্দার পিলারবিহীন পরিত্যক্ত ভবনটি যেকোন মুহূর্তে ধসে পড়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে ওই ভবনের পাশে ভিন্ন ভবনে চারটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসলিম উদ্দীন জানান, বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষর্থীদের সংখ্যা ২০০ জন। চারটি কক্ষে গাদাগাদি করে দুই শিফটে পাঠদান চলছে। কক্ষ স্বল্পতার কারণে পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে। পুরাতন জরাজীর্ণ ভবনটি নিলামে বিক্রির জন্য প্রায় ১২ বছর আগে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করেছিলেন। এখন পর্যন্ত পরিত্যক্ত ভবনটি নিলামে বিক্রি করা হয়নি।
আরও পড়ুনবিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার্থে দ্রুত পুরাতন ভবন অপসারণ করে ওই স্থানে ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে তিনি শিক্ষা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টিও কামনা করেন। গতকাল শনিবার এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কফিল উদ্দিন সরকার জানান, খলিশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
প্রায় এক মাস আগে বিদ্যালয়ে এক কোটি ১০ লাখ টাকার প্রাক্কলিক ব্যয়ে নতুন একটি ভবন নির্মাণের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলে জানান। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়নে পরিত্যক্ত ভবনটি অপসারণ করে একই স্থানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।
মন্তব্য করুন