বগুড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালে আ’লীগ নেতার রুমে তালা
_original_1747324069.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া ডায়াবেটিক ও স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালের আহ্বায়ক ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. মকবুল হোসেন মুকুলের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে নাম ফলক অপসারণ করেছেন বিএনপি’র নেতারা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে বগুড়া জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম ও কেএম খায়রুল বাশার ডায়াবেটিক হাসপাতালে গিয়ে তালা দেন এবং নাম ফলক খুলে ফেলেন।
জানা গেছে, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. মকবুল হোসেন মুকুল বিগত সময়ে দীর্ঘ দিন বগুড়া ডায়াবেটিক ও স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালের সভাপতি ছিলেন। গত ১৭ আগস্ট আগের কমিটি ভেঙে দিয়ে এড. মকবুল হোসেন মুকুলকে আহ্বায়ক করে বিএনপি এবং জামায়াত নেতাদের সমন্বয়ে পাঁচ সসদ্যের এডহক কমিটি গঠন করা হয়। মকবুল হোসেন মুকুলের নামে জুলাই অভ্যুত্থানে একাধিক মামলা হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। এরমধ্যে গত ১২ মে ডায়াবেটিক হাসপাতালের তিনটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় স্থানীয় পত্রিকায়। সেখানে আত্মগোপনে থাকা এডহক কমিটির আহবায়ক বরবার আবেদন পাঠাতে বলা হয়, এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন বিএনপি নেতারা।
বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায় হলেও এই ডায়াবেটিক হাসপাতাল এখনও ফ্যাসিস্ট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতা মুকুল হত্যা মামলার আসামি। তিনি পলাতক থেকে এখনও এই হাসপাতাল পরিচালনা করছেন এবং তার মাধ্যমে নতুন নিয়োগ বাণিজ্যের পরিকল্পনা চলছে। তারা এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ১৭ বছর লুটপাট করেছে। আমরা আর কাউকে লুটপাট করতে দিবো না। কোন ফ্যাসিস্ট এই হাসপাতালে যাতে না থাকতে পারে তাই শান্তিপূর্ণভাবে কমিটির আহবায়কের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিলাম।’
আরও পড়ুনবগুড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালের নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কমিটির বিষয়ে আমাদের কোন মতামত নেই। হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা শুধু কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে কাজ করি।’
মন্তব্য করুন