ভিডিও শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫

৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

সংগৃহিত,৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

চার মাসের চিকিৎসা ও বিশ্রাম শেষে আগামী সোমবার (৫ মে) দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। লন্ডনের চিকিৎসা ও পারিবারিক আবহে কাটানো এই সময়ের পর তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলেই জানিয়েছেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি সোমবার ঢাকায় ফিরবেন।’

দেশে ফেরার সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সফরসঙ্গী থাকছেন তার দুই পুত্রবধূ—ডা. জোবায়দা রহমান (তারেক রহমানের স্ত্রী) ও সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি (আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী)।

আরও থাকছেন—খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা ডা. আমিনুল হক চৌধুরী, এপিএস মাসুদুর রহমান এবং দুই গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম ও রূপা হক।

সূত্র জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ধানমন্ডিতে তার বাবার বাসায় অবস্থান করবেন।

সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে দেশে আনা হচ্ছে। যদিও পূর্ণাঙ্গ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা মিলছে না, তবে লন্ডনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দল ও পরিবারের সদস্যরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আরও পড়ুন

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানান জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তার লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিসসহ একাধিক রোগ রয়েছে বলে জানায় দলীয় সূত্র। ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর তিনি কারাবন্দি হন। পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার দণ্ড স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, তবে শর্ত ছিল তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।

গত কয়েক বছরে একাধিকবার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমতি নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি লন্ডন যান খালেদা জিয়া। দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর তিনি জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হন।


লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পর ডা. জাহিদ হোসেন ওই সময় (৭ জানুয়ারির পরপরই) কিছু আপডেট জানিয়েছিলেন। তিনি সে সময় জানান, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস, পরবর্তীসময়ে কম্পেনসেন্টারি লিভার ডিজিজ বলে গ্রেড-টু, সেটার জন্য টিপস (চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিশেষ পদ্ধতি) করা হয়েছে। হার্টে স্টেন্টিং করার পর চেক করে আবার সেটার জন্য রি-স্টেন্টিং করে অথবা চেক করে দেখতে হয় যে স্টেন্টিংটা ভালোভাবে কাজ করছে কি না।

ডা. জাহিদ আরও জানান, ওনার আরও যে ব্লক আছে, সেটা অ্যাড্রেস করা দরকার, ওনার ক্রনিক কিডনি ডিজিজ যেটা আছে, সেটা অ্যাড্রেস করতে হবে। করোনা পরবর্তীসময়ে কিছু জটিলতা হয়েছে, সেগুলো নিরসন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে জুলাই গণহত্যার আসামিনের মনোনয়ন বাতিলের দাবি

ফুলশয্যার রাতেই বরের মৃত্যু, বাকরুদ্ধ নববধূ

নাফ নদী থেকে আটক ৪ রোহিঙ্গা জেলেকে ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি

চাঁদপুরের বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত 

শিক্ষার্থীর হাতে কাঁচের টুকরো রেখে সেলাই

বগুড়ার ধুনটে আমের লোভ দেখিয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা, গ্রেফতার ১