ভিডিও মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

পরাজিত শক্তি যেন কোনোভাবেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে : ড. ইউনূস

পরাজিত শক্তি যেন কোনোভাবেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে : ড. ইউনূস, ছবি: সংগৃহীত।

অন্তর্বতীকালীন সরকারের পপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পরাজিত শক্তি যেন কোনোভাবেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে। ভোটাররা যেন নির্ভয়ে-নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। 

আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে তিন দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. ইউনূস বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে দেশে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা অনেক। নির্বাচনে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ ও ভোটাররা যেন নির্ভয়ে-নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মনে রাখবেন, কোনো ব্যক্তি যদি অন্যায় বা অনিয়মের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়, সেই ব্যক্তির দ্বারা ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সুতরাং কারও দ্বারা ব্যবহৃত হবেন না। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ব্রত হিসেবে নির্বাচনে নিজেদের নিয়োজিত করবেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কখনই যেন পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনী বা অন্যায় কাজে ব্যবহার না করা যায় সেজন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। নির্বাচনের আগের এই সময়টা অনেক কঠিন। আপনাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে, পরাজিত শক্তি যেন কোনোভাবেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমরা একটা যুদ্ধাবস্থায় আছি। অশুভ চক্র আমাদের স্বপ্নকে, আমাদের ঐক্যকে ভেঙে দিতে সব শক্তি নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে। একে প্রতিহত করার জন্য আপনাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা অনেক ন্যায্য, অন্যায্য আন্দোলনে মানুষকে রাস্তায় নেমে আসতে দেখেছি। এসব পরিস্থিতিতে আপনারা অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। আশা করি একই রকম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আগামী দিনগুলোতেও আপনারা কাজ করে যাবেন।

আরও পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ মানুষের বন্ধু। পুলিশ বাহিনীকে সেই ইমেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রথমবারের মতো এবার পুলিশ সপ্তাহে ধর্মীয় নেতা, সাংবাদিক ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি জানতে পেরেছি। এ বৈঠকে পুলিশের ওপর জনসাধারণের প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা হবে। আমার প্রত্যাশা হলো, এটি যেন চলমান থাকে। প্রতি বছর পুলিশ সপ্তাহে যেন এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব কমিয়ে আনতে এটি অত্যন্ত জরুরি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার নূপুরের ধ্বনি, ছড়াক মানবতার বাণী

কোম্পানির মুনাফার জায়গা গোখাদ্য হতে পারে না: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

নৃত্য ও সুস্থতা: আত্মার আরাধনায় শরীর ও মন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশার ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, আমি পুরো বিশ্ব চালাচ্ছি: ট্রাম্প

নরসিংদীতে সন্ত্রাস দমন আইনের যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার