সঙ্গে ফিরছেন দুই পুত্রবধূ জোবাইদা ও শার্মিলা
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা অফিস : লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সব ঠিক থাকলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরবেন। তবে, অসুস্থতা বেড়ে গেলে তার ফিরতে দেরি হতে পারে।
বিএনপির মিডিয়া সেল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তথ্যমতে, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোর (খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে) স্ত্রী সৈয়দা শার্মিলা রহমানও খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন।
জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ও আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন করতোয়াকে বলেন, ম্যাডাম দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শারীরিক অবস্থা (অসুস্থতা) ঠিক থাকলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি দেশে ফিরবেন।
জানা গেছে, বর্তমানে লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমান-এর বাসায় চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। সূত্র জানায়, কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে খালেদা জিয়াকে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে। সব ঠিক থাকলে তিনি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরবেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের আয়োজন করতে সাম্প্রতিক বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন।
আরও পড়ুনতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ‘আশঙ্কামুক্ত’ নয়। তিনি দেশে ফিরতে চেয়েছেন। ওনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসক বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেশে ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছেন। অপর সূত্র জানায়, বিএনপির মহাসচিবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার লন্ডন ও দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বেগম খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কভিড-১৯ মহামারির সময় বিগত সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান।
এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত। গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করেছেন খালেদা জিয়া।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।
মন্তব্য করুন