ভিডিও রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নিখোঁজের ৯ দিনের মাথায় পুকুরপাড়ের ঝোপ থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নিখোঁজের ৯ দিনের মাথায় পুকুরপাড়ের ঝোপ থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার। প্রতীকী ছবি

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : নিখোঁজের ৯ দিনের মাথায় জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে একটি পুকুরপাড়ের ঝোপ থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী কাফি খন্দকার (৮) নামে এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার সহলাপাড়া গ্রামে ভিতরগাড়ী নামক একটি পুকুর পাড়ের ঝোপ থেকে শিশুটির অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে পুলিশ হেফাজতে রেখেছেন। পুলিশ বলছেন, শিশু কাফিকে ৪/৫ দিন আগে অন্য কোথাও হত্যা করার পর হয়তো গত রাতের কোনো এক সময়ে লাশ এই পুকুর পাড়ের ঝোপে ফেলে গেছে। নিহত কাফি খন্দকার উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের সহলাপাড়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে।

সে নসিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে তারা হলো, সহলাপাড়া গ্রামের ফরিদ খন্দকার (৬৫), বাবু খন্দকার (৫৫)  এবং মহিদুল ইসলাম প্রামানিক (৪৫)।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যার আগে কাফি বাড়ির বাইরের উঠানে অন্য শিশুদের সাথে খেলা করছিল। প্রতিবেশীদের অনেকেই ওই শিশুকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলা করতে দেখেছে। এর কিছুক্ষণ পর শিশু কাফি খুলিয়ান থেকে উধাও হয়। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন নিকট আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য অনেক স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি।

রাতে এলাকায় তারা মাইকিংও করেছে। শিশুর বাবা ইকবাল হোসেন পরদিন ১৯ এপ্রিল ক্ষেতলাল থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। গত কয়েকদিনে তাদের একমাত্র ছেলের কোনো সন্ধান পাননি। ৯দিনের মাথায় আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে গ্রামের লোকজন ভিতরগাড়ী নামক পুকুরপাড়ের ঝোপ থেকে পঁচা দুগন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অর্ধগলিত অবস্থায় শিশু কাফির লাশ উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন

শিশুর বাবা ইকবাল হোসেন বলেন,‘আমার একমাত্র সন্তান নিখোঁজের পর থেকে পুলিশকে বলেছি, আমার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু তারা আমার কথায় গুরুত্ব দেননি। শুধু পুলিশই নয়, আমি জিডির কপি হাতে নিয়ে পাগলের মত র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও ডিবি পুলিশকেও অবগত করেছি। ছেলে হত্যার বিচার চাই।

প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবা খাতুন বলেন, গত ৯দিন ধরে তাদের পরিবারে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করেছে। একমাত্র ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পুরো পরিবারে নেমে এসেছে অন্ধকার। বাবা-মা প্রায়ই পাগল। পুকুরপাড়ের ঝোপ থেকে কাফির লাশ উদ্ধার হবে এটা কেউ মেনে নিতে পারছেন না। কাফি হত্যার বিচার চাই।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপেন্দ্র সিংহ বলেন, নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়েছি। গতকাল খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অর্ধগলিত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় এনে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরানে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ৪, আহত পাঁচ শতাধিক

কান চলচ্চিত্র উৎসবে রাজীবের স্বল্পদৈর্ঘ্য

২ মে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে এনসিপি

অন্তিম শয়ানে পোপ ফ্রান্সিস

রেললাইনে সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নব দম্পতি নিহত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ