ভিডিও সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

আরও সংকটাপন্ন অবস্থায় মাগুরার নির্যাতিত শিশু 

আরও সংকটাপন্ন অবস্থায় মাগুরার নির্যাতিত শিশু, ছবি: সংগৃহীত।

মাগুরায় বর্বর নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) বরাত দিয়ে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে জানানো হয়, শিশুটির আজ আরো দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে (হৃদ্যন্ত্রের স্পন্দন বা হার্টবিট বন্ধ হয়ে যাওয়া); দ্বিতীয়বার প্রায় ৩০ মিনিট সিপিআর দেওয়ার পর রিভার্স করেছে। ব্রেন ফাংশন করছে না; জিসিএস (কোমা) লেভেল ৩। তার রক্ত চাপ ও অক্সিজেন লেভেল অনেক কম। শিশুটি বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকার শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন।এর আগে বুধবার (১২ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, বুধবার পর্যন্ত সে চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে এবং প্রতিবারই সিপিআর প্রদানের মাধ্যমে তাকে স্থিতিশীল করা হয়েছে। এছাড়া, তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস চলছে। বর্তমানে শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ যা আরও নিম্নমুখী হচ্ছে, ফলে আশঙ্কা কাটেনি। পোস্টে বলা হয়েছে, সিএমএইচ’র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড শিশুটির চিকিৎসার জন্য আধুনিক সব চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করছে। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

শিশুটি গত ৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকার সিএমএইচ-এ ভর্তি হয়। তার চিকিৎসার জন্য সব ধরনের সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছে। চিকিৎসকরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে গেলেও, শিশুটির শারীরিক জটিলতা এবং বারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা তার অবস্থাকে আরও সংকটময় করে তুলছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যশোরে ফুল বাগান দেখাতে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ; আটক ৪

ভারতে খোলা জায়গায় নামাজ পড়ায় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে সিলেটে হামজা, হারানোর প্রত্যয়

মেসির গোলে শীর্ষে মায়ামি

যুদ্ধবিরতি নিয়ে মঙ্গলবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প

জাতীয় পার্টি জাতীয় বেইমান : জয়নুল আবদিন ফারুক