নওগাঁর রাণীনগরে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে পবিত্র রমজান মাসে প্রকাশ্য দিবালোকে মাইকিং ও স্যোসাল মিডিয়ায় প্রচার করে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস ৫শ’ টাকা কেজিতে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গরুর মালিক বলছে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় কসাইকে খবর দিয়ে জবাই করে বেতগাড়ী ব্রিজের মোড়ে বিক্রি করা হয়। জানা গেছে, উপজেলার গোনা ইউনিয়নের নান্দাইবাড়ি গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে জর্জ এর একটি গাভী দুইদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রতিবেশী সুমন সেই গরুটি স্থানীয় ভবাণীপুর গ্রামের কসাই জহুরুলের কাছে ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি করি।
কসাই জহুরুল শুক্রবার দুপুর থেকে মাইকিং করে ৫শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে। তবে গরুটি কে জবাই করেছে তার বাড়ি থেকে কে কীভাবে অসুস্থ গরুটি বেতগাড়ী ব্রিজের মোড়ে নিয়ে এসেছে এর সঠিক উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন সুমন। মাংস বিক্রিকালীন সুমনকে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গেছে। তবে এলাকায় গুঞ্জন চলছে অসুস্থ গরুটি জবাই করার আগে মারা গেছে কি না এ নিয়ে ও চলছে গুঞ্জন।
এই গরুর মাংস মাইকিং ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে ৫শ’ টাকা থেকে শুরু করে যার কাছে যা দাম পাচ্ছে তড়িঘড়ি করে বেচার চেষ্টা করছে। এমনকি বিশেষ লোক দেখে বাঁকিতেও বিক্রি করছে। তবে যে আইডি থেকে প্রচার করা হচ্ছে ওই আইডির সত্বাধিকারী শেরেকুল বলেন, গরুটি স্ট্রোক করেছিলো। সর্বশেষ গরুটি জীবিত না মৃত অবস্থায় জবাই করা হয়েছে এ নিয়েও তার কাছে স্পষ্ট উত্তর নেই।
ভবাণীপুর গ্রামের কসাই জহুরুল জানান, আমি সুমুনের মাধ্যমে জর্জের ওই গাভীটি কিনেছি। কেনার সময় গাভিটির পা ভাঙা ছিল। বেতগাড়ী ব্রিজের মোড়ে বেলালের মাধ্যমে জবাই করে মাংস বিক্রি করেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি ইনস্পেক্টর আব্দুল মান্নান জানান, বেদগাড়ী ব্রিজের মোড়ে কসাই জহুরুল একটি রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে মাইকে প্রচারের মাধ্যমে মাংস বিক্রি করছে এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুনএকটি গরু জবাই করতে হলে অবশ্যই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার প্রত্যয়ন বাধ্যতামূলক যতটুকু আমি জানতে পেরেছি এই নিয়ম মানা হয়নি। সেহেতু আমরা ধরে নিতে পারি এই গরুটির স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছিল।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ফাইসাল জানান, জহুরুল কসাই বেতগাড়ী ব্রিজের মোড়ে একটি অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করছে এমন সংবাদ পেয়ে আমার অফিসার আমাকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই মাংস বিক্রি শেষ হওয়ায় বিষয়টি সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে গরুটি রোগাক্রান্ত ছিল কি না এব্যাপারে আমার কাছ থেকে কোন প্রত্যয়ন নেওয়া হয়নি।
মন্তব্য করুন