বগুড়ার বইমেলা ভালো বইয়ের সন্ধানে পাঠকরা

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় একুশের বইমেলা ধীরে ধীরে জমে উঠছে। আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মেলার ষষ্ঠ দিনে মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীই বেশি। কেউ আসছেন ঘুরতে, কেউবা আক্ষরিক অর্থেই একটি ভালো বইয়ের সন্ধানে এসেছেন। তবে অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার বইয়ের কেনাবেচা একটু কম। কারণ হিসেবে ক্রেতারা যেমন পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে তুলে ধরছেন তেমনি পাঠকদেরও কেউ কেউ এমন দাবি করছেন।
ফয়সাল হাসান নামে এক পাঠক কলেজ পড়ুয়া তার মেয়েকে নিয়ে মেলায় এসেছেন ঘুরতে এবং বই কিনতে। ফয়সাল জানান, তার মেয়ের পছন্দ হুমায়ুন আহমেদের বই। তবে গতবারের মতো এবারও তার মেয়ে ইলমা বেহরোজের বই কিনতে এসেছেন। পত্রিকায় বইমেলার সংবাদ পড়ে তার মেয়ে জানতে পেরেছেন ইলমা বেহরোজের ‘আমি পদ্মজা’র দ্বিতীয় পর্ব এসেছে।
তাই বাবার সঙ্গে জেদ ধরে ওই বইই কিনতে এসেছেন। তবে তিনি শহীদ প্রেসিডেস্ট জিয়াউর রহমানের ভক্ত। তাই এবার মেলায় এসে জিয়াউর রহমানের লেখা ‘আমার রাজনীতির রূপরেখা’ নামে বইটি কিনেছেন। এবারের মেলায় বড়দের মতো শিশুরাও আসছে বই কিনতে।
বগুড়া জিলা স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিব আল হাসান জানায়, তার বই পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। সায়েন্স ফিকশনের বইগুলোই তার পছন্দ। এছাড়া বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী ও শিশুতোষ ভিত্তিক রোমাঞ্চকর উপন্যাসগুলোও তার পছন্দ। এবার মেলায় আদিব শিশুতোষভিত্তিক দুটো উপন্যাস, একটি সায়েন্স ফিকশনের বই কিনেছে।
আরও পড়ুনজাতীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) বগুড়া জেলার শাখার উদ্যোগে শহরের শহীদ খোকন পার্কে আয়োজিত মেলায় প্রতিষ্ঠিত ও বিখ্যাত লেখকদের পাশাপাশি বগুড়ার কবি-সাহিত্যিকদেরও বই আসতে শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে মেলায় এসেছে মাহফুল আখতারের কাব্যগ্রন্থ ‘নষ্ট সুতার নষ্ট ঘুড়ি’, শাজাহান রিপনের কাব্যগ্রন্থ ‘নব চেতনা’, ফাতেমা ইয়াসমিনের ছোটদের গল্প ‘শিয়াল মামার ফন্দি’। আগামী দুই দিনে বগুড়ার লেখকদের আরও কিছু বই আসবে বলে জানিয়েছেন বই বিক্রেতারা।
বিকেল থেকে বইমেলায় দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেলেও রাত ৯টার পর থেকে তেমন পাঠক থাকছে না মেলায়। গতকাল মেলায় নতুন কোন বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়নি। আয়োজক জাসাস জেলা কমিটি প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির নিয়মিত আয়োজন ছাড়াও থাকছে স্থানীয় সংগঠনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে উচ্চারণ একাডেমি, নৃত্য মন্দির ফারফর্মিং আর্টস একাডেমি, অরিন্দম থিয়েটার ও সকাল সাংস্কৃতিক পরিষদ।
বগুড়া জেলা জাসাস’র সভাপতি ওয়াহিদ মুরাদ বলেন, আমরা পাঠক সৃষ্টির জন্য কাজ করছি। শিশুরা যেমন বইমেলায় আসছেন এবং বই কিনছেন, তেমনি যেন আমাদের তরুণ প্রজন্ম বইমুখী হয়ে উঠেন সে জন্য আমাদের বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি।
মন্তব্য করুন