বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ সালমা হত্যা মামলায় ভাড়াটিয়া হাসির জামিন নামঞ্জুর

কোর্ট রিপোর্টার : বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যা করে বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রাখা মামলার আসামি ভাড়াটিয়া মাবিয়া সুলতানা ওরফে হাসির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার সিনিয়র দায়রা জজ মো. শাহজাহান কবির হাজতি ওই আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ঘটনার চার মাস আগে ওই বাসার চারতলায় একই উপজেলার ইসলামপুর উত্তর সাজাপুরের আইয়ুব আলীর স্ত্রী মাবিয়া সুলতানা ওরফে হাসি (৪১) ভাড়া নেন। এদিকে ভাড়াটিয়া মাবিয়া সুলতানা ওরফে হাসির অনৈতিক কার্যকলাপ গৃহকর্ত্রীর নজরে আসলে গৃহকর্ত্রী সালমা ও তার স্বামী এমএ আজিজুর রহমান ভাড়াটিয়া হাসিকে বাসা ছেড়ে দিতে বলেন।
এতে হাসি আসামি মোসলেম উদ্দিন ও সুমন রবিদাসকে ডেকে এনে গত ১০ নভেম্বর আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপচাঁচিয়া উপজেলার জয়পুরপাড়ায় নিজ বাড়িতে মারপিটসহ শ্বাসরোধ করে গৃহকর্ত্রী সালমাকে হত্যা করে লাশ হাত-মুখ গামছা ও ওড়না দিয়ে বেঁধে ঘরের ডিপ ফ্রিজে রেখে ঘরের আলমারি কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনার পর নিহতের বড় ছেলে নাজমুস সাকিব গত ১২ নভেভেম্বর অজ্ঞতনামা উল্লেখ করে দুপচাঁচিয়া থনায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরের দিন র্যাব নিহত সালমার ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র সাদ বিন আজিকে আটক করে পুলিশে সোপার্দ এবং র্যাব প্রেসব্রিফিং করে ছেলে সাদ তার মাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করে। পুলিশ সাদকে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়।
আরও পড়ুনএদিকে এই মামলা পুলিশ ওই তিন আসামি বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া সুলতানা হাসি, মোসলেম ও সুমনকে গ্রেপ্তার করলে প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসে এবং আসামি মাবিয়া সুলতানা হাসি ও আসামি মোসলেম ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেন।
আসামি মোসলেমের কাছ থেকে নিহত সালমার দু’টি মোবাইল ও রাউটার পুলিশ উদ্ধার করে। মামলাটি পরিচালনা করেন বাদি রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি এড. তারিকুল ইসলাম সাচ্চু এবং আসামি পক্ষে এড. এসএম মাসুদার রহমান স্বপন।
মন্তব্য করুন