সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার অসহায় দুই নারীর হলো মাথা গোঁজার ঠাই

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : ‘আসমানীদের দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, রহিমুদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুল পুরে যাও, বাড়িতো নয়, ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িযে পড়ে পানি.....। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার রাজমান গ্রামের অসহায় নারী দুই নারী আমেনা ও হাসিনা। তাদের বাড়িঘর ও সংসারের জীর্ণদশা কবি জসীম উদ্দীনের আসমানী কবিতাকেও হার মানাতো।
অবশেষে আমেরিকা প্রবাসী মতিউর রহমান জনির আর্থিক সহায়তায় গৃহবধূ আমেনা খাতুন ও হাসিনা খাতুনের দুটি নতুন ঘর পেলেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কৃষি ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল চিত্রপুরি কৃষি চিত্র ওই দুই মহিলাকে ঘর দুইটি নির্মাণ করে হস্তান্তর করে।
উপজেলার রাজমান গ্রামের এই দুই মহিলার মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। আমেনা খাতুন তার অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার জন্য সকল সহায় সম্পদ বিক্রি করে দেন। তারপরও স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি। তাই পরের বাড়িতে কাজ করে দিনাতিপাত করেন তিনি। হাসিনা খাতুনের স্বামী প্রতিবন্ধী। আয় রোজগারের কোন সুযোগ নেই। তাকেও অন্যের বাড়িতে কাজ করে স্বামীকে নিয়ে চলতে হয়। দুই নারী বসবাস ঝুপড়ি ঘরে।
আরও পড়ুনমানবেতর জীবন যাপনকারী এই দুই নারীর বিষয় নিয়ে কিছুদিন আগে ইউটিউবার র.ই মানিক তার চিত্রপুরী কৃষিচিত্র ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রচার করেন। পরে আমেরিকা প্রবাসী দয়ালু মতিউর রহমান জনি এই দুই নারীর মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিতে এগিয়ে আসেন। তার আর্থিক সহায়তায় মানিক রাজমান গ্রামে ওই দুই মহিলার স্বামীর ভিটায় মেঝে পাকা করে দুটি টিনের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। সঙ্গে টয়লেট ও নলকুপের ব্যবস্থা করেছেন।
র.ই মানিক প্রতিবেদনের কারণে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। তাই তারা দুইজন র.ই মানিক ভাই এবং আমেরিকা প্রবাসী মতিউর রহমান জনির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
মন্তব্য করুন